ষড়যন্ত্র করে iPhone ও iPad এর দাম বাড়ানোর অভিযোগ, বিপাকে Apple ও Amazon

গত বছর নভেম্বরে Apple এবং Amazon এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়

আমেরিকা ভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপল (Apple) এবং জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন (Amazon) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি কনজিউমার অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা (consumer-antitrust lawsuit)-কে ঘিরে বিপাকে পড়লো। আইফোন এবং আইপ্যাডের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে। আজ মামলার শুনানি চলাকালীন Apple ও Amazon-কে ভৎসনা করেন সিয়াটেলের একজন ফেডারেল বিচারক।

এর আগে আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট জজ জন কফেনর (John Coughenour) Apple এবং Amazon-এর বক্তব্যে খুশি না হয়ে তাদের বিপক্ষে রায় দেন। কফেনর জানান যে – বিভিন্ন কোম্পানি বর্তমানে একই কাজে লিপ্ত এবং এরফলে ক্রেতাদের কোম্পানির প্রতি বিশ্বাস কমছে।

গত বছর নভেম্বরে Apple এবং Amazon এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়

জানিয়ে রাখি, অ্যাপল ও অ্যামাজনের বিরুদ্ধে গত বছর নভেম্বরে মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অ্যামাজন থেকে iPad ও iPhone কিনেছেন এমন বেশ কয়েকজন মার্কিন বাসিন্দা মিলিতভাবে এই মামলা দায়ের করেছিল। এই মামলায় সংস্থা দুটির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির কথাও বারংবার তুলে ধরা হয়েছে, যার ঘোরতর বিরোধিতা করেছে অভিযোগকারীরা। উল্লেখ্য, এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর অ্যামাজন কনজিউমার অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন লঙ্ঘন করে প্রতিযোগিতামূলক রিসেলারের সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবীর দাবি অনুসারে, ২০১৮ সালে অ্যামাজনে প্রায় ৬০০টি থার্ড পার্টি অ্যাপল রিসেলার ছিল। কিন্তু Apple তাদের মুনাফা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে, এই বিপুল পরিমাণ বিক্রেতাদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার পরিবর্তে একটি লোভনীয় প্রস্তাব দেয় অ্যামাজনকে। মার্কেটপ্লেস থেকে রিসেলারের সংখ্যা কমিয়ে দিলে টেক জায়ান্টটি অ্যামাজনকে তাদের পণ্যের উপর উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে সম্মত হয়।

এই চুক্তির কথা সামনে আসার পর Apple নিজের পক্ষ রাখতে যুক্তি দেয় যে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া নকল Apple পণ্যগুলি হ্রাস করতে অনুমোদিত রিসেলারের সংখ্যা সীমিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল Amazon-কে। আর দু’পক্ষ রাজি থাকায় এই চুক্তি কার্যকর করা হয়।

তবে এই চুক্তি ক্রেতা বিরোধী বলে মনে করছে মামলাকারীরা এবং তাদের কথায় সহমত পোষণ করেছে আদালত। সিয়াটেলের বিচারক, পরবর্তী শুনানিতে যথাযথ প্রমাণ সামনে রেখে অ্যাপল এবং অ্যামাজনের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা জানিয়েছেন। নইলে বড়সড় জরিমানা বা শাস্তির মুখে পড়তে পারে তারা।