ভাঁজ করে ঘোরা যাবে সর্বত্র, চালাতে লাইসেন্স লাগবে না, 29,499 টাকায় ইলেকট্রিক কিক স্কুটার লঞ্চ করল Arctic Fox

পরিবেশ দূষণের মাত্রা প্রতিনিয়ত যেই গতিতে ধাবিত হচ্ছে, তার জন্য অন্যতম দায়ী প্রথাগত জ্বালানির যানবাহন থেকে নির্গত কালো বিষাক্ত ধোঁয়া। এই বসুন্ধরাকে ভালোবেসে এবং জ্বালানি তেলের মূল্যের ছ্যাঁকা থেকে নিষ্কৃতি পেতে বহু গ্রাহক ব্যাটারি চালিত যানবাহন বাড়ি নিয়ে আসছেন। ফলে এক ঢিলে মারা যাচ্ছে দুই পাখি। বৈদ্যুতিক যানবাহনের মধ্যে আবার সর্বাধিক জনপ্রিয় টু-হুইলার। ভারত তথা বিশ্বের সব দেশের চিত্রটি কম বেশি একই। আবার প্রায় নিখরচায় কাছে কোথাও ভ্রমণের জন্য ছোট চাকার ই-স্কুটারের চাহিদা ইদানিং মাথা চাড়া দিচ্ছে। যা দেখে আউটশাইনি ইন্ডিয়া (Outshiny India)-র সিস্টার ব্র্যান্ড আর্কটিক ফক্স (Arctic Fox) ভারতের বাজারে নিয়ে এল Moon মডেলের ছোট চাকার এক ইলেকট্রিক কিক স্কুটার। যার দাম রাখা হয়েছে ২৯,৪৯৯ টাকা।

Arctic Moon স্কুটারটি ব্যক্তিগত অথবা বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহারের জন্য কেনা যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। মজার বিষয় হল, এটি ব্যবহারের পর ভাঁজ করে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যাবে। দৃশ্যত Moon-কে কচিকাঁচাদের খেলনা স্কুটার মনে হলেও, আদতে এটি কিন্তু অত্যাধুনিক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য। ১২০ কেজি পর্যন্ত ওজন নিতে পারবে এটি। এই জাতীয় ইলেকট্রিক স্কুটারের কদর চীনের বাজারে চোখে পড়ার মতো। কারণ নিত্য বেড়ে চলা যানজট কাটিয়ে এতে সহজেই চলা যায়, পার্কিংয়ের সহজতা অথবা ভাঁজ করে সাথে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার কারণে এর চাহিদা এতো বেশি।

Arctic Moon-এ দেওয়া হয়েছে একটি ৮ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার লিথিয়াম ব্যাটারি। এতে ৪ ঘন্টা সম্পূর্ণ চার্জ দিলে একটানা ২০ কিলোমিটার চলা যাবে। আবার এতে উপস্থিত ৩৫০ হোয়াট ইলেকট্রিক মোটরটি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।  একাধিক রাইডিং মোড উপলব্ধ –  স্পিড ১, ২, ৩। যা পরিবর্তন করে  ঘন্টা প্রতি ১৫ কিমি থেকে ২৫ কিমি পর্যন্ত গতিতে চালানো যাবে এটি। লো স্পিড হওয়ার কারণে লাইসেন্সের দরকার হবে না।

স্কুটারটির প্রসঙ্গে আর্কটিক ফক্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি শ্রীধর থিরুনাকারা বলেন, “আমাদের মূল প্রতিপক্ষ চীনের থেকে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। কারণ ভারতের বাজারে চীনের পণ্য ভীষণ সস্তায় বিক্রি হয়। এর কারণ ওদের গণ উৎপাদনের ক্ষমতা। তবে আমাদের সংস্থা কোনো ভারতীয় কোম্পানিকে প্রতিপক্ষের জায়গা দখল করতে দেবে না।” শ্রীধর আরও বলেন, প্রতিবছর তাদের সংস্থা গড়ে ২০-২৫% ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে। গত আর্থিকবর্ষে ১৬৩ কোটি টাকার ব্যবসা করা হয়েছে। এ বছর ২৩০ কোটি টাকা টার্নওভারের লক্ষ্য স্থির করেছে তারা।