Sim Swap: অন্যের সিম নিজের দখলে এনে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, কলকাতা থেকে গ্রেফতার দুই

খাস কলকাতাতেই সিম সোয়াপিং কেলেঙ্কারি!

বর্তমান সময়ে সিম সোয়াপিং (Sim Swapping) নামক অনলাইন জালিয়াতি বেশ মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের সিম কার্ড নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে, তাদের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে স্ক্যামাররা। এতদিন পর্যন্ত সাধারণত মুম্বই, দিল্লী জাতীয় শহরে এই সিম সোয়াপিংয়ের কথা শোনা গেলেও, এবার মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গবাসীদেরও এর থেকে সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ সম্প্রতি এই ধরণের ঘটনার জেরে এই রাজ্যের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, এই দুই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইন স্ক্যামের টাকা ট্রান্সফার হত। আর এই স্ক্যাম আদতে সিম সোয়াপিং যেখানে শিকারের সিম কার্ড নিষ্ক্রিয় করে এবং ইমেইল আইডি হ্যাক করে, তাদের প্রতারণা করা হত বলে পুলিশের মত।

Sim Swap-এর সাথে জড়িত থাকায় গ্রেফতার দুই, পেছনে আছে বড় গ্রুপ?

পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা গত ২২শে ফেব্রুয়ারি কলকাতার এক মহিলা সিম সোয়াপ বা সিম কার্ড অদলবদলের জেরে ৭.৪৩ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে অভিযোগ পায়। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই ৭.৪৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ৪.২ লক্ষ টাকা প্রথমে বনগাঁর বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মজুমদারের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছিল; পরে সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় এবং অবশেষে বসিরহাটের একটি এটিএম (ATM) থেকে তোলা হয়। এরপরই বিশ্বজিৎ মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য হেফাজতে নেওয়া হয় মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর ঘোষালকে।

এক্ষেত্রে পুলিশ জানিয়েছে যে, ধৃতেরা একা এই কাজ করেনি, তারা একটি বড় গ্রুপের অংশ যেখানে সিম অদলবদল করে মানুষকে লুট করা হয়। এই ধরণের স্ক্যামে কোনো ব্যক্তির নামে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে সিমকার্ড হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়, তারপর জালিয়াতরা টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে একটি নতুন সিম কার্ডের জন্য আবেদন করে। যখন নতুন সিম কার্ড সক্রিয় হয়, তখন পুরনোটি (মানে যা আসল গ্রাহকের কাছে আছে) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই কাজ হলে প্রতারকরা শিকারের ইমেইল আইডি এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে, যাতে প্রতারণামূলক লেনদেনের সতর্কতা অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের কাছে না পৌঁছায়।

উদ্ধার হয়েছে স্ক্যামের ২.৯ লক্ষ টাকা

সম্প্রতি সিম সোয়াপিংয়ের শিকার হওয়া ওই মহিলার যে টাকা প্রতারণার জেরে খোওয়া গেছে, তার মধ্যে শিলিগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২.৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মতে, এই ঘটনায় মজুমদারের নামে থাকা অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত এটিএম কার্ডটি স্ক্যামের সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের কাছে উপলব্ধ ছিল, ফলে বাকি টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে এবং তা কলকাতা জুড়ে একাধিক এটিএম থেকে তোলা হয়েছে।