দেশের সুরক্ষার জন্য বিপদজনক চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে এবং জেডটিই, জানালো আমেরিকা
করোনা ভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতিতে বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে চীন বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা চীনা কোম্পানিগুলির উপর। চীনের কোম্পানি huawei এবং ZTE কর্পোরেশন সারাবিশ্বে কম খরচে টেকনোলজি সামগ্রী প্রদান করে। কিন্তু বর্তমানে এই কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে সারাবিশ্ব। আমেরিকার ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন চীনের এই দুটি কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদজনক বলে ঘোষণা করেছে।
এরপরেই চীনের এই দুটি কোম্পানিকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে আমেরিকার বাজার থেকে । এছাড়াও যে ছোটখাটো কোম্পানিগুলি এই দুটি ব্র্যান্ডের টেকনোলজির উপর নির্ভর করে কাজ করত তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা এ দুটি কোম্পানিকে বর্জন করে। এফসিসি জানিয়েছে, হুয়াওয়ে এবং জেডটিই দুটি কোম্পানি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং চীনের সৈন্য দলের সঙ্গে সংযুক্ত। এই কারণে এই দুটি কোম্পানিকে বয়কট করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
হুয়াওয়ের জিনিসপত্র নজরদারির ক্ষেত্রে ব্যবহার করে চীন –
এফসিসি-র অধ্যক্ষ অজিত পাই টুইটারে জানিয়েছেন, আমেরিকার সরকার চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে আমেরিকার কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের দুর্বলতাগুলিকে ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না।
এছাড়াও তার আরও বক্তব্য, হুআওয়ে এবং জেডটিই কোম্পানি দুটি রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদজনক। তিনি জানিয়েছেন সারা বছরে, এফসিসি প্রায় ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফান্ড প্রস্তুত করে। এই ফান্ড সাপ্লায়ারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস কেনার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এবার থেকে আর চীনের কোম্পানিগুলির থেকে সার্ভিস ক্রয় করার জন্য এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে না। এই ফান্ড আমেরিকার সরকারের টেলিকম সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এফসিসি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৪৮টি কোম্পানি সরকারের থেকে সাবসিডি নিয়ে থাকে। এবং এই সাবসিডি তারা ব্যবহার করে হুয়াওয়ে এবং জেডটিইর মতো কোম্পানির থেকে ইকুইপমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে। কিন্তু বর্তমানে যদি এই সমস্ত ইকুইপমেন্ট বদলে ফেলতে হয় তাহলে, একটি টেকনোলজি ফার্মের অতিরিক্ত ৪০ থেকে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে। এই খরচের পরিমাণ একটি সাধারণ কোম্পানির পক্ষে বহন করা অত্যন্ত চাপের।
শুধুমাত্র হুয়াওয়ে এবং জেডটিই নয়, আমেরিকা সরকার চীনের আরো তিনটি কোম্পানির উপরে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আসতে চলেছে। ওয়াশিংটন এবং বেজিংয়ের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এই কারণে এই তিনটি কোম্পানির উপরে খুব তাড়াতাড়ি খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। সন্দেহের তালিকায় থাকার কারণে মনে করা হচ্ছে এই তিনটি চীনা টেলিকম কোম্পানির উপরেও প্রতিবন্ধকতা আনা হবে আর কিছুদিনের মধ্যে।