প্রতারিত বহু মানুষ, অ্যাপ ডাউনলোডের সময় এই ম্যালওয়্যার থেকে সাবধান থাকুন

স্মার্টফোনে ম্যালওয়ার এবং স্পাইওয়্যার আক্রমণ বা হ্যাকিংয়ের আশঙ্কার বিষয়টি যেন রোজকার কোনো স্বাভাবিক বিষয়ের মত হয়ে গেছে। ম্যালওয়ার ব্যবহার করে হ্যাকার বা জালিয়াতরা সাধারণ মানুষের ফোন অ্যাক্সেস করে সংবেদনশীল ডেটা চুরি করার চেষ্টা করে এবং সেগুলির অপব্যবহার করে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে বিপজ্জনক কয়েকটি ম্যালওয়ার সম্পর্কে বলব, যেগুলি থেকে সাবধানে থাকা দরকার।

ইভেন্টবোট:

এই বছরের মে মাসের গোড়ার দিকে, ব্যাংকিং জালিয়াতির সাথে যুক্ত ‘ইভেন্টবোট’ নামে ম্যালওয়্যার সম্পর্কে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের সতর্ক করেছিলো CERT-In সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, এই ম্যালওয়্যারটি ২০০ টিরও বেশি ফিনান্সিয়াল অ্যাপ্লিকেশনকে টার্গেট করছে। এর মধ্যে অনেকগুলি ব্যাংকিং অ্যাপ, টাকা ট্রান্সফার এবং কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সী অ্যাপ্লিকেশন ছিল।

কোভিডলক:

এই বছরের শুরুর দিকে, ‘কোভিডলক’ নামে একটি ম্যালওয়্যার অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের আক্রমণ করতে শুরু করে। এটি কোভিড ট্র্যাকিং অ্যাপ হিসাবে ইউজাররা ফোনে ইনস্টল করেন। ইনস্টলেশনের সময়, এটি অত্যন্ত চালাকি করে প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতি নিয়ে নেয়। এই ম্যালওয়্যারটি ইউজারদের ফোন লক করে দেয় এবং আনলক করার পরিবর্তে ১০০ ডলার দাবি করে।

এজেন্ট স্মিথ:

এজেন্ট স্মিথ একটি বিপজ্জনক অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার। এই ম্যালওয়্যারটি ফোনের মূল অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে প্রতিস্থাপন করে। এটি বিশ্বের ২.৫ কোটি মানুষকে বোকা বানিয়েছে। ভারতে এই ম্যালওয়ারের কারণে দেড় মিলিয়ন ইউজার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

এছাড়া ব্ল্যাকরক বা ফ্যাসোকয় নামে দুটি ম্যালওয়্যারের কথা আমরা আগে জানিয়েছিলাম, যার মধ্যে একটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিজের জাল বিস্তার করে, অন্যটি ভুয়ো ডাক পরিষেবা অ্যাপ হিসেবে ফোনে জায়গা করে নেয়। অতএব, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার সময় সাবধান থাকুন। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।