তিন মাসের মধ্যেই লঞ্চ, বৈদ্যুতিক অবতারে বাজারে ঝড় তুলতে আসছে Kinetic Luna

সময়টা নব্বইয়ের দশক। দুবলাপাতলা চেহারার লুনা (Luna) তখন বাজার রীতিমতো দাপিয়ে বেড়িয়েছে। দু’দশকের বেশি সময় আগে বিক্রি বন্ধ হলেও, ভাগ্য ভাল থাকলে রাস্তায় বেরোলে এখনও দু’একটি লুনা মোপেড মডেল নজরে পড়ে। হোন্ডার সঙ্গে জুটি বেঁধে কাইনেটিক সংস্থার তৈরি এই দুই চাকা গাড়ি আজও বাবা-কাকাদের স্মৃতিতে তাজা। বর্তমানে ইলেকট্রিক স্কুটার ও থ্রি-হুইলার তৈরি করছে কাইনেটিক। পরিবেশবান্ধব বোঝাতে নামের শেষে বসেছে গ্রীন শব্দটি। তবে নতুন বছরেই বড় চমক দিতে চলেছে সংস্থাটি৷ আর সেটা কী নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন হ্যাঁ, বৈদ্যুতিক অবতারে লুনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে লঞ্চ টাইমলাইন শেয়ার করেছেন খোদ কাইনেটিক গ্রীনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সুলজ্জা ফিরোদিয়া মতওয়ানি।

Electric Luna আসছে আগামী বছর

সুলজ্জা জানিয়েছেন, ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে লুনা ইলেকট্রিক ভারতে লঞ্চ হবে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরকারি ছাড়পত্র পাওয়া সম্পূর্ণ। এমনকি কেন্দ্রের ফেম প্রকল্পের অনুমোদন হাতে এসেছে সংস্থার। Zulu ই-স্কুটার লঞ্চের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন মডেল লঞ্চের জন্য কোমর বেধেছে কাইনেটিক।

এই প্রসঙ্গে সংস্থার কর্ণধারের বক্তব্য, “আমরা ক্রেতাদের থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। যার জন্য আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আমরা লুনা ব্যবহারের সেই হারিয়ে যাওয়া আনন্দ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।” কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিজেদের রূপরেখা সাজিয়ে রেখেছে কাইনেটিক। মতওয়ানি যোগ করেন, আগামী পাঁচ বছর বাজার তোলপাড় করতে পরবো বলেই আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে একটি হাই-পারফরম্যান্স স্কুটারের উপর কাজ চলছে, যার হুইলবেস দীর্ঘ হবে। এটি প্রতি ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার টপ স্পিড তুলতে পারবে। আবার L5 নামে যাত্রী পরিবহনের একটি গাড়িও বানানো চলছে বলেও জানান তিনি। ২০৩০ অর্থবর্ষের মধ্যে ১০ লাখ ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কাইনেটিক গ্রীন। এতে করে ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে সংস্থার। ই-মোপেড এবং ইলেকট্রিক স্কুটার ছাড়া এখন ই-মোটরসাইকেলের দিকে দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোতওয়ানি।