COP26: গ্রিডের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হাত মেলাল ভারত ও ব্রিটেন

কার্বন নিঃসরন ‘নেট জিরো’-তে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এখন থেকেই জীবাশ্মশক্তির পরিবর্তে পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে কয়লা ও জ্বালানি তেল পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথাগত উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরির বদলে সোলার পাওয়ার প্লান্ট বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়ার জন্য বিশ্বের কাছে অনুরোধ রাখছেন তারা।

গ্লাসগোয় রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন, ২৬তম ‘কনফারেন্স অব পার্টিজ’-এ বিপুল সম্ভাবনায় সৌর শক্তি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলির মধ্যে সংযোগকারী একটি গ্লোবাল সোলার গ্রিড (বিদ্যুৎ লাইন) গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারত এবং ব্রিটেন যৌথ ভাবে প্রকল্প লঞ্চ করতে পারে।

প্রসঙ্গত, সৌর শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে  ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (ISA) ‘গ্রীন গ্রিড’ (Green Grid) নামে ওই প্রকল্প শুরু করেছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে ভারত ও ফ্রান্সের হাত ধরেই প্রকল্পটির সূচনা হয়েছিল। আর গত মে মাসে ভারত এবং ব্রিটেন যৌথ ভাবে এই প্রজেক্টের উপর কাজ করতে সম্মত হয়।

এই প্রসঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স-এর ডিরেক্টর অজয় মাথুর (Ajay Mathur)-এর বলেছেন, পৃথিবীর একটি অংশে সুর্য সর্বদা আলো দেয়। আর বাকি অংশটি থাকে অন্ধকার৷ অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে সৌরশক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না বলেই উদ্যোগটি নেওয়া হচ্ছে। গ্লোবাল গ্রিড নেটওয়ার্ক থাকলে তার মাধ্যমে সেই শক্তি এক দেশ থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা সহজ হয়ে উঠবে।

মাথুর সহজ করেও বিষয়টি বুঝিয়েছেন’ “ধরুন পূর্ব এশিয়ায় তখন রাত। কিন্তু, ভারতে সেই সময় দিন। যদি ভারত ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে কেবল সংযোগ থাকত, তাহলে সৌর বিদ্যুৎ সরাসরি ভারতে থেকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া যেত।”

মাথুরের বিশ্বাস, সময়ের সাথে সাথে গ্রীন গ্রিড প্রজেক্টে যোগদানকারী দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। কারণ একসময় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নীচে নেমে যাবে৷ তা ছাড়া এটি পুনর্নবীকরণযোগ্য।