আগামী 17 বছরের জন্য বড় লক্ষ্যে Xiaomi, ততদিন কোম্পানি টিকবে? ধেয়ে এল কটাক্ষ

একটি প্রোডাক্ট লঞ্চ ইভেন্টে, শাওমি (Xiaomi)-এর সিইও লেই জুন জানিয়েছেন যে, ২০৪০ সালের মধ্যে তাদের সংস্থা কার্বন নিউট্রালিটি অর্জন করার লক্ষ্য নিয়েছে। অর্থাৎ সংস্থার বিভিন্ন কর্মকান্ড কার্বন নিঃসরণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে। এই ঘোষণার জন্য যেমন শাওমি একাধারে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্য প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই কেউ কেউ এই ধরনের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। এমনকি কিছু নেটিজেন ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেছেন, শাওমি ২০৪০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে কিনা, তা-ই একটি প্রশ্ন।

Xiaomi-এর ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রালিটি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংশয়

শাওমি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার লেই জুন কোম্পানির টিকে থাকার প্রশ্নে বিচক্ষণ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে এবং কার্বন নিউট্রালিটি অর্জনের জটিলতা স্বীকার করে ওয়েইবো (চীনা মাইক্রোব্লগিং সাইট)-তে নেটিজেনদের সংশয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার এই বুদ্ধিমান প্রতিক্রিয়া ইতিবাচকভাবে গৃহীত হয়েছিল, যা পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি এবং ব্যবসায়িক ঝুঁকির সাথে ভারসাম্য বজায় রাখে।

সোশ্যাল মিডিয়ার বেশিরভাগ কমেন্টই শাওমির নির্দেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে এবং লেই জুনের বিবৃতিকে সমর্থন করেছে। তার ওয়েইবো পোস্টগুলিতে, লেই জুন শাওমির জনহিতকর প্রচেষ্টার দিকটিও তুলে ধরেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে শাওমি পাবলিক ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সঙ্কট ও দুর্যোগে ত্রাণ দানের জন্য শাওমি গ্রুপ এবং তার নিজের দেওয়া অতিরিক্ত অনুদান বাদ দিয়েও ১৫৬ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১,৭৭৪ কোটি টাকা) নগদ অনুদান দিতে সমর্থ হয়েছে।

এছাড়া, শাওমি সম্প্রতি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা কিছুদিন আগেই ফ্ল্যাগশিপ Xiaomi 14 সিরিজ চীনে লঞ্চ করেছে। একইসাথে নতুন সফ্টওয়্যার হাইপারওএস (HyperOS) প্রকাশ করেছে। এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি কোম্পানির বহুদিনের পুরোনো মিউ (MIUI) কাস্টম স্কিনকে প্রতিস্থাপন করছে। হাইপারওএস অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি স্মার্টফোন, স্মার্ট হোম ডিভাইস এবং এমনকি যানবাহন সহ বিস্তৃত প্রোডাক্ট লাইন জুড়ে বৃহত্তর দক্ষতা, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এবং উন্নত এআই (AI) ক্ষমতা, নিরাপত্তা এবং সংযোগের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।