সুখবর, YouTube Shorts বানিয়েও এবার টাকা উপার্জন করা যাবে

TikTok-এর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তায় থাবা বসাতে গত বছর জনপ্রিয় অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম YouTube, টিকটকের মতোই নতুন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও ফিচার Shorts লঞ্চ করেছিল। লকডাউনে অধিকাংশ মানুষেরই, বিশেষ করে অলস সময়ের সঙ্গী হওয়ায় YouTube-এর এই ফিচার ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শুধু এই ফিচারটিই নয়, লকডাউনে YouTube Shorts বানিয়ে বহু মানুষও সোশ্যাল দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় কয়েক বিলিয়ন মানুষ অবসর সময় কাটাতে তথা মনোরঞ্জনের জন্য এই প্ল্যাটফর্মে ঢুঁ মারেন। ফলে ভারতে টিকটক ব্যান হওয়ার পুরোপুরি ফায়দা তুলতে ইউটিউবের এই ফিচারটি যে সম্পূর্ণভাবে সক্ষম হয়েছে, সেকথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার নিজেদের জনপ্রিয়তার মাত্রাকে আরো বহুগুণে বাড়াতে এবং TikTok-কে আরও জোর টক্কর দিতে একটি নতুন ঘোষণা করল Google। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিনটি ১০০ মিলিয়ন ডলারের YouTube Shorts ফান্ড তৈরি করেছে, যা আকর্ষণীয় (engaging) কনটেন্ট তৈরির জন্য নির্মাতাদের প্রদান করা হবে।

দ্য ভার্জ-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, YouTube মাসিক ভিত্তিতে নির্মাতাদের অর্থ প্রদান করবে। যে সকল নির্মাতাদের বানানো চিত্তাকর্ষক শর্টস সর্বাধিক ভিউ পাবে, কেবলমাত্র তারাই অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন। এর জন্য YouTube তাদের কত টাকা দেবে তা নির্দিষ্ট করে বলেনি, তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কয়েক হাজার নির্মাতা অরিজিনাল YouTube Shorts কনটেন্ট বানিয়ে টাকা রোজগার করতে পারবেন। আপাতত ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটিউব শর্টস ব্যবহারকারীরা এই সুযোগ পাবেন। এই পেমেন্ট প্রক্রিয়া ঠিক কবে থেকে শুরু হবে তা সুস্পষ্ট না হলেও খুব শীঘ্রই যে শুরু হতে চলেছে, তা নিশ্চিত করেছে ইউটিউব।

তবে এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, এই আইডিয়াটি যে Google-এর মাথাতেই প্রথম এসেছে তা নয়, এর পিছনেও TikTok-এর হাত আছে। কারণ, TikTok অনেক আগেই তার ইউজারদের জন্য এই সুবিধা নিয়ে এসেছিল। জুলাই ২০২০ সালে, TikTok এনগেজিং কনটেন্ট নির্মাণকারী ভিডিও ক্রিয়েটারদের অর্থ প্রদানের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড লঞ্চ করেছিল। এছাড়া, ইউজারদের খুশি করতে অপর একটি জনপ্রিয় অ্যাপ Snapchat-ও তার টিকটক প্রতিদ্বন্দ্বী ফিচার Spotlight-এ মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় ভিডিও নির্মাতাদের জন্য প্রতিদিন ১ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ ব্যয় করছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে TikTok বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও জনপ্রিয়তার শীর্ষেই রয়েছে। টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলির পাশাপাশি Instagram এবং Google-ও ভারতে TikTok-এর ছেড়ে যাওয়া শূন্যস্থান দখল করার চেষ্টা করছে। ১০০ মিলিয়ন ডলারের এই তহবিল YouTube এবং Google-এর তরফ থেকে গ্রাহকদের খুশি করতে এবং একইসাথে ধরে রাখার জন্য আরেকটি প্রচেষ্টা, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই TikTok-এর অভাব ভুলে YouTube Shorts-এর মাধ্যমে নিজেদের মনোরঞ্জন করতে পারে, এবং সাথে সাথে শর্ট ভিডিও স্পেসের সাহায্যে ওয়েব দুনিয়ায় নিজেদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও মজবুত করতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন