ভরসার আরেক নাম Apple! প্রশাসনের অনুরোধেও জানালো না ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য

এমন অনেক টেকনোলজি সংস্থা আছে, যাদের প্রোডাক্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফাঁক ফোকরের দরুন মুহূর্তের মধ্যে ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটা হ্যাকিং ফোরামগুলিতে ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু যখন iPhone ডিভাইসের ডেটা নিরাপত্তার কথা ওঠে, তখন টেক জায়ান্ট Apple -কে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়। কারণ অ্যাপল, ইউজারদের ব্যক্তিগত ডেটার গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে এতটাই গুরুত্ব আরোপ করে যে, দেশীয় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের চোখরাঙানিকেও ডরায় না তারা। প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে ঠিক এমনই একটি ঘটনার হেতু আমেরিকা ভিত্তিক অ্যাপল সংস্থাটিকে দেশীয় কর্তৃপক্ষের রোষে পড়তে হয়েছিল।

২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘটানো গণহত্যার ঘটনা আমরা কম-বেশি অনেকেই জানি। এই ভয়াবহ কান্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার পর, তাদের মধ্যে এক বন্দুকবাজের কাছ থেকে iPhone 5C মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল কর্তৃপক্ষ। তাই তদন্তের খাতিরে FBI যখন অ্যাপলকে ফোনটি আনলক করার অনুরোধ জানায়, তখন টেকনোলজি সংস্থাটি তা করতে অস্বীকার করে। ফলত এই নিয়ে সংস্থাটিকে অসংখ্য সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

যদিও এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে সেই সময়ে অ্যাপলের সিইও টিম কুক একটি পোস্টে জানিয়েছিলেন; “ একজন ব্যক্তি ও সংস্থার কর্মকর্তা হিসাবে সন্ত্রাসীদের প্রতি আমাদের কোনো প্রকার সহিষ্ণুতা বা সহানুভূতি নেই। সান বার্নার্ডিনোতে সন্ত্রাসীদের দ্বারা ঘটানো এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ন্যায়বিচার জন্য কর্তৃপক্ষকে সব রকমের সাহায্য করা হবে।” কিন্তু তা সত্ত্বেও অ্যাপলের তরফ থেকে ডিভাইসটিকে আনলক করার জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণ হিসাবে টিম জানান, iOS 8 সহ সব আইফোনগুলিতে এমনভাবে ডেটা এনক্রিপ্ট করা আছে যে, ইউজার দ্বারা প্রদত্ত পাসকোড ছাড়া সংস্থাটি নিজেও সেই ডিভাইস আনলক করতে পারবে না। তাই তাই যদি কারোর অ্যাপল ডিভাইস হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, তবে ফোনে থাকা ব্যক্তিগত ডেটা, কথোপকথন সহ অন্যান্য তথ্য গুলিকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

যাইহোক, ‘দ্য ওয়াশিংটন’ -এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে হালফিলে জানা যায় যে, অ্যাপল সংস্থাটি তাদের সিস্টেমে থাকা ডেটা এনক্রিপ্ট পলিসির দরুন সেই আইফোনটির ডেটা উদ্ধার করতে না পারায়, FBI তৎকালীন সময়ে প্রায় ৯০০,০০০ ডলার অর্থের বিনিময়ে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক একটি ছোট সংস্থা ‘Azimuth’ -কে আইফোনটিকে আনলক করার দায়িত্ব দিয়েছিল। জানা গেছে, টেক জায়ান্ট অ্যাপল, ‘Corellium’ নামক একটি অনলাইন ভার্চুয়াল আইফোন হ্যাকিং গবেষক সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর, উক্ত ‘Azimuth’ সংস্থাটির নামও সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে আসে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন