Bajaj Pulsar: পালসারে এবার মিলবে হাই-টেক ফিচার! 2024-এ এসে বড় সিদ্ধান্ত নিল বাজাজ

সাম্প্রতিক ট্রেন্ড অনুযায়ী ভারতীয়দের মধ্যে ১৫০ সিসি থেকে ২০০ সিসির বাইক কেনার প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। সেই কারণেই এই সেগমেন্টে বিগত কয়েক বছরে দেশি-বিদেশী সব সংস্থার হাত ধরেই লঞ্চ হয়েছে একের পর এক নতুন মডেল। দেশীয় বাইক নির্মাতা Bajaj Auto এর ঝুলিতে এমন বাইকের সংখ্যা একাধিক। গত দুই বছরে সংস্থার জনপ্রিয় পালসার সিরিজে N160 এবং N150 লঞ্চ হয়েছে। এই দুটিতেই যেমন চোখধাঁধানো স্টাইল নজরে আসে তেমনি পারফরম্যান্স মনমুগ্ধ করে গ্রাহকদের। বছর ঘুরতেই বাইক দু’টি নতুন আপডেটের সঙ্গে লঞ্চের প্ল্যান করছে বাজাজ।

2024 Bajaj Pulsar N150 & N160: সাসপেনশন ও ব্রেক

এতদিন পর্যন্ত পালসার N150-এর পিছনের দিকে সাধারণ ড্রাম ব্রেকের ব্যবহার হলেও নতুন সংস্করণে যুক্ত হবে ডিস্ক ব্রেক। এতে বাইক চালানোর সময় আত্মবিশ্বাস এবং বাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে। তাছাড়াও এতে প্রথম থেকেই একটানা লম্বা সিট সংযুক্ত ছিল। এবারে তার পরিবর্তে বাইকটিকে খানিকটা স্পোর্টি ডিজাইন উপহার দিতে স্প্লিট সিট সেটআপ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বাইকটির অন্যান্য ডিজাইন পূর্বের মতোই রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পালসার N160 মডেলে আপডেট হিসাবে সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক দেওয়া হবে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। এর ফলে বাইকের সামগ্রিক রাইডের অনুভূতি অবশ্যই উন্নত হবে। বাড়বে স্টেবিলিটি। নতুন কালার অপশন এবং গ্রাফিক্স যুক্ত হবে বলেও শোনা যাচ্ছে।

2024 Bajaj Pulsar N150 & N160: ফিচার

বর্তমানে N150 তে পার্ল মেটালিক হোয়াইট এবং ইবনি ব্ল্যাক এই দুটি রঙে কিনতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে N160 মডেলটি ব্রুকলিন ব্ল্যাক, রেসিং রেড এবং ক্যারিবিয়ান ব্লু কালার অপশনে উপলব্ধ এদেশের বাজারে। এই দুটি বাইকের ডিজাইন এবং পারফরম্যান্স নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ না থাকলেও হাই-টেক ফিচার্সের ঘাটতি অবশ্যই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংস্থার। এই সমস্যার সমাধানে দুটি বাইকের নতুন ভার্সনে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলের সাথে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি দেওয়া হবে।

2024 Bajaj Pulsar N150 & N160: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

অন্যান্য পরিবর্তন হলেও পালসার সিরিজের এই দুটি বাইকের ইঞ্জিন নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো কাটাছেঁড়া করতে নারাজ বাজাড। আসলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স প্রশ্নাতীত। পালসার N160-কে এগিয়ে চলার শক্তি সরবরাহ করে ১৬৪.৮২ সিসির অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন। এটি থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১৬ পিএস এবং ১৪.৬৫ এনএম। সঙ্গে রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স।

অন্যদিকে, পালসার N150-এর ভিতরে ১৪৯.৬৮ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন বর্তমান। যা সর্বোচ্চ ১৪.৫ পিএস শক্তি এবং সর্বাধিক ১৩.৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। ইঞ্জিনের পাশাপাশি দুটি বাইকের চাকা অপরিবর্তিতই রাখা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল এবং টায়ার সাইজ পূর্বের মতোই থাকছে।