লকডাউনের জের, আগামী দুইবছর কেবল সস্তা ও বাজেট স্মার্টফোনের চাহিদা থাকবে ভারতে

বর্তমানে চলা করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি একটা বিশাল প্রভাব পড়তে চলেছে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির উপরেও। এই পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম একটি হলো কম দামী স্মার্টফোনের বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়া। এই লকডাউনের সময়ে সকলের আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিচে নেমেছে। এই কারণেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেটে গেলে লো বাজেট সেগমেন্টের স্মার্টফোনের বিক্রি বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিগত চার বছর ধরে এই রেঞ্জের স্মার্টফোনের বিক্রির হার ক্রমাগত হ্রাস পেতে থেকেছে। কিন্তু এই বছর পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বছর সাধারণ মানুষ বিনা কারণে বেশি টাকা খরচ করে দামী স্মার্টফোন কেনার পরিবর্তে সস্তা বাজেট রেঞ্জের স্মার্টফোন কিনতে বেশি পছন্দ করবেন, যেগুলি তাদের প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম হবে।

• এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোনের বিক্রির হার কমেছে –

এন্ট্রি লেভেল সেগমেন্টের স্মার্টফোন বলতে আমরা সাধারণত ৫,০০০ টাকার কম দামের স্মার্টফোনগুলির কথা বলি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সমস্ত বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের মধ্যে এই রেঞ্জের স্মার্টফোন ছিল ১২%। এই হার ২০১৯ সালে কমে গিয়ে হয় মাত্র ৪%। অন্যদিকে লোয়ার মিডিল রেঞ্জের স্মার্টফোন অর্থাৎ ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে স্মার্টফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫% থেকে কমে নেমে আসে ৪২%-এ। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই বছর বাজেট রেঞ্জের স্মার্টফোনের মার্কেট শেয়ারের পরিমান করোনা ভাইরাসের দৌলতে কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

• সেলিং প্রাইসে ১০-১৫ শতাংশ হ্রাস –

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের একটি ধারণা থেকে মনে করা হচ্ছে, এবার থেকে স্মার্টফোনের গড় বিক্রয় মূল্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। ফার্মের রিসার্চ ডাইরেক্টর নীল শাহের মতে বর্তমানে স্মার্টফোনের প্রাইস ব্যান্ডে কিছুটা কমতি দেখা দিতে পারে। পরিবারের গড় আয় কমে যাওয়া, বেকারত্বের কারণে ব্যবহারকারীদের বাজেট কিছুটা তো কমবে, পাশাপাশি কোন পরিবারে ফোনের সংখ্যা বেশি হলে নতুন ফোনের বাজেট পূর্বে ১০,০০০ টাকা ধরা থাকলে তা এখন ৮০০০ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

• অনলাইন এবং অফলাইন স্মার্টফোনের বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ –

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন এবং অফলাইন দুই জায়গাতেই স্মার্টফোনের বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কেট আবার নতুন করে খুললেও বছরের শেষ অবধি কোন বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *