চীন-আমেরিকাকে পিছনে ফেলে গাড়ি তৈরিতে এক নম্বর দেশ হবে ভারত, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

সম্প্রতি জাপানকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। প্রথম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় চীন। যানবাহনের দুনিয়ায় ভারতের এই উত্থান নিয়ে বড়সড় স্বপ্ন দেখছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সম্প্রতি গ্লোবাল বিজনেস সামিট ২০২৪-এর মঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেছেন যে, ২০২৯-এর মধ্যে বিশ্বের মধ্যে অটোমোবাইলের বৃহত্তম ম্যানুফ্যাকচারিং হাব বা উৎপাদন শিল্পতালুক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত। স্বভাবতই মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর নতুন উদ্যমে নড়েচড়ে বসেছে কোম্পানিগুলি।

ইদানিং বিকল্প জ্বালানি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকেলের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে নতুন নতুন পদক্ষেপ করে চলেছে সরকার। ফলস্বরূপ এদেশে ব্যবসাকারী কোম্পানিগুলি বিশ্বমানের গাড়ি তৈরি করছে। এগুলি যে কেবল দেশের ক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে তা নয়, একই সাথে বিদেশের বাজারেও পাড়ি জমাচ্ছে এই অত্যাধুনিক মডেলগুলি।

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম অটোমোবাইলের বাজার হিসেবে ভারতের অর্থনীতির বিকাশ ঘটার পাশাপাশি এদেশে উৎপাদন থেকে পরিষেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থায় কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ২০২৯-এর মধ্যে যদি মন্ত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়, সেক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতি, শিল্প, সমাজ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন ঘটবে। সমগ্র বিশ্বকে অটোমোবাইলের শিল্প নেতৃত্ব প্রদান করবে ভারত।

অন্যদিকে, দেশের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়েও নিতিন গডকড়ী বারংবার মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায় দেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে রাস্তায় সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং বিকল্প জ্বালানি ও ইলেকট্রিক গাড়ি সংখ্যা বাড়ার প্রয়োজন। এই সমস্ত কিছু ঠিকঠাকভাবে হলে তবেই অটোমোবাইলের বৃহত্তম উৎপাদন শিল্পতালুক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ভারত।