90 এর দশকের স্মৃতি জাগিয়ে Bajaj Chetak তিরিশ বছর আগেকার ঝাঁ চকচকে চেহারায় ফিরল, ছবি দেখুন

সালটা ১৯৭২। ভারতের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী বর্ষ। ঠিক সেই বছরেই বাজাজের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করল মহারানা প্রতাপের প্রিয় ঘোড়া “চেতক” এর নামাঙ্কিত এক স্কুটার। সেদিনও বোঝা যায়নি যে এই স্কুটার ভারতবাসীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কতটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত হয়ে পড়বে। সময় যত গড়িয়েছে ততো জনপ্রিয়তা বেড়েছে বাজাজ চেতকের। তবে দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে মানুষের ভালো লাগার ধারা। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ২০০৫ সালে থমকে যায় চেতকের চাকা। তবে বছর তিনেক আগে চেতকের স্মৃতিকে উসকে দিয়ে বাজাজ এর বৈদ্যুতিক সংস্করণ বাজারে আনে। আর এখন কেরলের একদল স্কুটারপ্রেমীদের প্রচেষ্টায় প্রায় তিন দশকের পুরনো এক চেতক নবজীবন ফিরে পেয়েছে।

Bajaj Chetak

১৯৯৩ সালে কেনা চেতকের সেই ১২ ভোল্ট ইলেকট্রনিক মডেলটির অবস্থা ছিল খুবই সঙ্গীন। সারা শরীরে ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশে মরচে জমে ছিল খুব বাজে ভাবে। তবে দিন রাতের পরিশ্রমের ফল যে বৃথা হয়নি, তা সম্পূর্ণ ভোল বদলে দেওয়ার পর স্পষ্ট। স্কুটারটির বেশিরভাগ অংশে ক্রোমের আস্তরণ নজর কাড়বে। সামনে ঠিক আসল মডেলটির মতোই ১০ ইঞ্চির স্টিলের চাকা ও সাথে ১০০/৯০ সেকশনের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। পুরানো রেট্রো স্টাইলকে অপরিবর্তিত রাখতে চাকার সামনের অংশের স্প্রিং লোডেড সাসপেনশনের উপর ক্রোমের কাজ করা হয়েছে।

একইভাবে স্কুটারটির পেছন ও সামনের দিকে ক্রোমের আস্তরণযুক্ত গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যদিও সমগ্র স্কুটারটিতে নীল রঙের শেডের উপর চকচকে এক ধরনের আস্তরণ ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য অংশগুলি যেমন বডির চারপাশের লাইনিং, হেডল্যাম্পের চারপাশ ও লুকিং গ্লাসের অংশ সবকিছুতেই ক্রোমের আস্তরণ বিদ্যমান। উপরন্তু হর্নের সামনের গ্রিলে স্টিলের একটি প্লেট দেওয়া হয়েছে। স্কুটারটির ফুটবোর্ডে অ্যালুমিনিয়ামের প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে। জল জমে যাতে মরচে না জমে সে জন্য ফুটবোর্ডে যথাযথ জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা রয়েছে।

সাধারণত এই মডেলটিতে অতিরিক্ত একটি চাকা সিটের পেছনের অংশে দেখা যায়। তবে নতুন মডেলটিতে অতিরিক্ত চাকাটি সামনের পা রাখার জায়গার পাশেই লাগানো রয়েছে, এতে স্কুটারটিকে পেছন থেকে দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও স্লিম লাগবে।  ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন অবশ্য পরিবর্তন করা হয়নি। আগের মতই ১৪৫.৫ সিসির, টু স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন এই স্কুটারে লাগানো হয়েছে। ইঞ্জিনটি ৫০০০ আরপিএম গতিতে ৭.৫ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৩৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১০.৮এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।