নতুন IT Rules নিয়ে প্রশ্ন আছে? একগুচ্ছ FAQ প্রকাশ করতে চলেছে ভারত সরকার

সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে ভারত সরকার এই বছরের শুরুতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির পাশাপাশি OTT এবং ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট সংক্রান্ত ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিকস কোড) রুলস বা IT Rules জারি করেছিল। এই নিয়মগুলি আগের মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কার্যকর হয়েছে। এখন ব্যবহারকারী এবং স্টেকহোল্ডারদের আরও ভালোভাবে এই নিয়মগুলি বুঝতে সহায়তা করার জন্য, ভারত সরকার কিছু Frequently Asked Questions (FAQs) এবং তাদের উত্তর প্রকাশ করতে চলেছে। PTI-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বর্তমানে FAQ-গুলি নিয়ে কাজ করছে এবং ২ সপ্তাহের মধ্যে প্রশ্ন ও উত্তরগুলি প্রকাশ করবে। মানুষের বোঝার সুবিধার জন্য FAQ-গুলিতে প্রায় ১০ থেকে ২০ টি প্রশ্ন থাকবে।

যারা জানেন না তাদের বলে রাখি, নতুন আইটি নিয়ম প্রয়োগের একমাত্র কারণ ছিল অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া সমস্ত ভুল, বেআইনি এবং বিতর্কিত কন্টেন্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা, এবং অবশ্যই এর সাথে সাথে বিতর্কিত কনটেন্টের সম্প্রসারণ আটকানো। নতুন আইটি নিয়মগুলি সেই সকল প্ল্যাটফর্ম/সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ লক্ষেরও বেশি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে একজন অভিযোগ কর্মকর্তা (grievance officer), একজন নোডাল অফিসার এবং একজন প্রধান সম্মতি কর্মকর্তা (chief compliance officer) নিয়োগ করতে হবে। এর পাশাপাশি, সমস্ত কর্মকর্তাদের অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে এবং তাদের রেজিস্টার্ড অফিসগুলিও ভারতে থাকতে হবে।

নতুন নিয়মে একথাও বলা হয়েছে যে, কোনো কনটেন্ট বিতর্কিত বা নগ্নতা/পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হলে সেই কন্টেন্টগুলিকে ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে রিমুভ করতে হবে। বছরের শুরুতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই সকল নিয়মের কথা ঘোষণা করেছিল এবং সংস্থাগুলিকে মেনে নেওয়ার জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। Twitter ছাড়া বাকি সকল প্ল্যাটফর্মই ইতিমধ্যেই এই নয়া নিয়মাবলী মেনে নিয়েছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারত সরকারের রোষের মুখে পড়েছে Twitter, এবং ভারতে তাদের অস্তিত্বও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।

ভারত সরকার কর্তৃক প্রণোদিত নয়া আইটি রুলস Twitter-এর না মানার অর্থ হল, সংস্থাটি তার প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ সকল কনটেন্টের জন্য আইনত দায়বদ্ধ। সুতরাং, Twitter ব্যবহারকারীরা যদি কোনও বেআইনি কনটেন্ট পোস্ট করেন তবে প্ল্যাটফর্মটিকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। টুইটারের একজন অ-ভারতীয় গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগের বিষয়টিতেও আইটি মন্ত্রক খুশি নয়। তবে এই প্রসঙ্গে Twitter-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, তাদের এই নয়া নিয়মগুলি মেনে চলার জন্য আরও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন। তার চেয়েও বড়ো কথা, জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি বিশ্বাস করে যে, নতুন আইটি নিয়ম গোপনীয়তা এবং বাক-স্বাধীনতার অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন