Apple, Samsung-এর ব্যবসা বন্ধে ব্যাপক লাভ, এবার রাশিয়ার বাজারেও রাজ করবে Xiaomi-রা

গত বছর রাশিয়া থেকে Samsung, Apple সরে এসেছে, আর এই শূন্যস্থান পূরণ করে বেশ লাভের মুখ দেখছে চীনা কোম্পানিগুলি।

বিশ্ববাজারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও গত বছর থেকে রাশিয়ায় কার্যত ব্যবসা বন্ধ করেছে Apple এবং Samsung। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এই দুই টেক জায়ান্ট সংস্থার ক্ষতিতে আখেরে চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলির বেশ লাভ হয়েছে। আসলে বিগত কয়েক বছরে ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য বাজারে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে চীন ভিত্তিক মোবাইল কোম্পানিগুলি। কিন্তু রাশিয়া থেকে Samsung, Apple সরে আসায় সেখানেও এবার নিজেদের জোরালো উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এই সংস্থাগুলি। জনপ্রিয় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শপ M.Video-Eldorado-এর মতে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে চীনা স্মার্টফোনগুলি রাশিয়ার বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে, ওই দেশে তাদের লাভের পরিমাণ সমস্ত বিক্রির ৭০ শতাংশেরও বেশি।

১ বছরে রাশিয়ায় ৫০ শতাংশের বেশি ফোন বিক্রি করেছে চীনা ব্র্যান্ডগুলি

রাশিয়ান মার্কেটে চীনা কোম্পানিগুলির যে সমৃদ্ধি, তা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫৫% বেড়েছে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ায় প্রায় ১৩ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে, আর এর সাথে সাথে সেখানে সামগ্রিক স্মার্টফোনের চাহিদা গত বছরের থেকে ১৭% বেড়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে রাশিয়ার শীর্ষ স্মার্টফোন বিক্রেতা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আমাদের পরিচিত শাওমি (Xiaomi) এবং রিয়েলমি (Realme)। এখানে অ্যাপল এবং স্যামসাংয়ের কোনো আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি নেই, তারা রাশিয়ান বাজারে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে।

M.Video একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, চীনের ব্র্যান্ডগুলি নিয়ম মেনেই রাশিয়ায় তাদের উপস্থিতি জোরদার করে চলেছে। হালফিলে সেখানে চীনা ব্র্যান্ডগুলির ফ্ল্যাগশিপ মডেল এবং ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের বিশেষ চাহিদা দেখা যাচ্ছে৷ এমনকি এই বছরের প্রথম ছয় মাসে রাশিয়ায় ১০টি সর্বাধিক বিক্রিত স্মার্টফোনের মধ্যে ৮টি চীনা হ্যান্ডসেট ছিল বলে তারা জানিয়েছে।

স্মার্টফোনের বাজারের পরিবর্তন রাশিয়াতেও বেশ প্রতিফলিত হচ্ছে

আসলে যেহেতু বেশিরভাগ পশ্চিমা ব্র্যান্ড রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) পরে মানে ২০২২ সালের শুরুর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ান বাজার ছেড়েছে, তাই চীনের বেইজিং এখন সেখানকার গ্যাজেট থেকে অটোমোবাইল সব কিছুর উৎস হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে এমনটা যদি চলতে থাকে, তাহলে চীনা ব্র্যান্ডগুলির শক্তি যে অনেক বেড়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই!