EV: পেট্রোল, ডিজেলের সংকট! এই দেশে বিক্রি বাড়ছে ইলেকট্রিক গাড়ির

এ যেন এক অমোঘ ভবিষ্যদ্বাণী! যুগ যুগ ধরে মানুষের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্রকৃতির ভান্ডারও একসময় নিঃশেষিত হয়ে যাবে! এবার তার খানিক চিত্র দৃশ্যপট হল ব্রিটেনে (UK)। সম্প্রতি জৈব জ্বালানির মহাসঙ্কটকে ঘিরে সেখানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাছাড়া বিকল্প পথ হিসেবে সে দেশের বহু নাগরিক বৈদ্যুতিক জ্বালানি নির্ভর গাড়ি বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। জার্মান অটোমোবাইল সংস্থা ফোক্সভাগেন (Volkswagen)-এর সম্প্রতি করা এক সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, সমীক্ষা চালানো ২,০০০ জনের মধ্যে ৩৫% মানুষই এই জ্বালানির সঙ্কটের কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে উদ্যত হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্রিটেনে জৈব জ্বালানির সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন দিতে হয়েছিল মোটর চালকদের। এর কারণ স্থানীয় কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘোষণা করেছিল যে তাঁদের জ্বালানির সংগ্রহ ফুরিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ক্রেতাদের তেল দেওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ ধার্য করেও দিয়েছিল। এমনকি বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পের স্টক শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ বাধ্য হয়েছিল। ফলত স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কের উদ্রেক হয় এবং পেট্রোল পাম্পগুলিতে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে ওঠে। ব্রিটেন সরকারকেও যা সামাল দিতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।

সমীক্ষায় ধরা পড়েছে আতঙ্কগ্রস্থদের মধ্যে ৩০% নাগরিক যাঁদের বয়স ১৮-২৪ বছর এবং ৩১% নাগরিক ২৫-৩৪ বছরের। তবে বয়সের এই পরিসীমা বৃদ্ধির সাথে আতঙ্কিত হওয়ার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে দেখা যায়। যেমন সেখানকার ৫৫-৬৪ বছরের মানুষের মধ্যে আতঙ্কগ্রস্থ হয়েছিলেন মাত্র ৭% মানুষ এবং ৬৫-৭৪ বছরের মাত্র ৩% মানুষ আতঙ্কিত হয়েছিলেন।

পেট্রোল-ডিজেলের এই সঙ্কট আগামী দিনেও আসতে পারে ভেবে সেখানকার বহু বাসিন্দা বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি উৎসাহিত হয়েছেন। এছাড়াও পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের ঘোষিত কঠোর নিয়মাবলীর কথা বিবেচনা করেও অনেকে ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই তা কিনেও ফেলেছেন। পাশাপাশি যেভাবে ইলেকট্রিক যানবাহনের বিকল্প, সুযোগ-সুবিধা এবং বিভিন্ন খাতে সরকারি ভর্তুকি বেড়ে চলেছে তার ফলেও এর চাহিদা বাড়ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন ই-যানবাহনের এই চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।