BSNL: ঢিলেঢালা মনোভাব বরদাস্ত নয়, কাজ করুন নয় অবসর নিন, বিএসএনএল কর্মীদের হুঁশিয়ারি টেলিকম মন্ত্রীর

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী বিএসএনএলের (BSNL) বর্তমান দুর্দশার জন্য এর কর্মচারীরা দায়ী, নাকি সরকার – বহুদিন ধরেই আমাদের মধ্যে এই বিতর্কের দড়ি টানাটানি চলছে। যদিও দিনের পর দিন কেটে গেলেও প্রশ্নটির কোনও সদুত্তর লাভ আজও সম্ভব হয়নি! টেলকোর এমন দশাতেও BSNL কর্মী ইউনিয়ন ও সরকার কিন্তু একে অপরকে দুষতেই ব্যস্ত থেকেছে। ফলে ভোগান্তি ক্রমে দীর্ঘ হয়েছে টেলকোর পরিষেবা ব্যবহারকারীদের।

BSNL কর্মীদের কড়া কথা শোনালেন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

এমতাবস্থায় BSNL যখন পরপ্রজন্মের 4G পরিষেবা লঞ্চের একদম প্রাক্‌লগ্নে হাজির, তখন সংস্থায় কর্মরতদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা দিলেন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি (IT) ও যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দ্য টাইমস নিউজ নেটওয়ার্ক (TNN) কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ বৈষ্ণব BSNL কর্মচারীদের ‘সরকারি’ (চাকরির) মনোভাব ত্যাগ করে কাজে মন দিতে বলেছেন। অন্যথায় কেন্দ্র তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করবে বলে বৈষ্ণবের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

আজ্ঞে হ্যাঁ, সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কর্মরত ৬২,০০০ -এরও বেশি কর্মী, কাজের নিরিখে অত্যন্ত খারাপ ফলাফল তুলে ধরেছেন। নিজেদের কাজের প্রতি তারা একেবারেই মনোযোগী নন। এমনটা চলতে থাকলে যে খুব শীঘ্রই তাদের কাজ খুইয়ে নিজেদের ঘরে ফিরতে হবে, নিজের বক্তব্যে বৈষ্ণব তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

স্রেফ এটুকুই নয়, সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বিএসএনএলের বরিষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছেন। আগামীদিনে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা যাতে জিও (Jio) এবং এয়ারটেলের (Airtel) মতো টেলিকম জায়ান্টদের যোগ্য প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য বৈষ্ণব বিএসএনএল কর্মকর্তাদের বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্ত্রীর এহেন নির্দেশ না মেনে বিএসএনএল কর্মীরা যদি কাজ না করার অভ্যাস বজায় রাখেন, তবে তারা ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট স্কিমের (VRS) অাওতায় স্বেচ্ছাবসর নিতে পারেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এর অন্যথা হলে অর্থাৎ কাজ না করে কোনও কর্মচারী নিজের পদ আঁকড়ে থাকতে চাইলে, ৫৬জে (56J) আইনে তাকে অকাল অবসরে ঘরে ফেরানো হবে বলে বৈষ্ণবের বক্তব্য।

একইসাথে এদিন মহানগর টেলিকম নিগম লিমিটেড অর্থাৎ এমটিএনএলের (MTNL) ব্যাপারে বলতে গিয়ে খুবই চাঞ্চল্যকরভাবে বৈষ্ণব বলেন, এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কোনও ভবিষ্যত নেই।