Bajaj Pulsar N150: মারকাটারি লুকসে ফিদা হবেন আপনিও, নতুন পালসার লঞ্চ করে বড় চমক বাজাজের

ভারতে ১৫০ সিসি সেগমেন্টে মোটরসাইকেলের চাহিদা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলে এই জাতীয় মডেল লঞ্চের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলির তাগিদ চোখে পড়ার মতই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বাজাজ অটো (Bajaj Auto)। সংস্থাটি Pulsar P150-র পর এবারে বহু প্রতীক্ষিত Pulsar N150 লঞ্চ করল। এটি P150-র তুলনায় স্পোর্টি ভার্সন। মডেলটির দাম ১,১৭,৬৭৭ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। নতুন, Bajaj Pulsar N150 লিটারে ৪৫-৫০ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে বলে দাবি করা হয়েছে। যা পুরনো পালসার ১৫০-এর ক্ষেত্রে দেখা যেত।

Bajaj Pulsar N150 : ডিজাইন ও ফিচার্স

দর্শনের প্রসঙ্গে বললে, নতুন ১৫০ সিসি পালসারের সাথে Pulsar N160-এর অনেকাংশেই মিল রয়েছে। এতে দেওয়া হয়েছে একটি শার্প এলইডি প্রোজেক্টর হেড ল্যাম্প ও একটি উঁচু ফুয়েল ট্যাঙ্ক। ফলে ডিজাইনিংয়ে আগ্রাসী লুক এসেছে। স্পোর্টস বাইকটিতে একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার বর্তমান, যা N160-এর থেকে নেওয়া। এছাড়া উপস্থিত ইউএসবি পোর্ট ও স্পিডোমিটার।

Pulsar N150-এর আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স দেখলে সহজে নজর ফেরানো যাবে না। মোট তিনটি রঙের বিকল্পে বেছে নেওয়া যাবে বাইকটি – রেসিং রেড, মেটালিক পার্ল হোয়াইট এবং ইবনি ব্ল্যাক। এতে দেওয়া হয়েছে একটি স্টেপআপ সিট, একটি স্লিক এগজস্ট এবং ফ্লোটিং বডি প্যানেল। N160-র থেকে ৭ কেজি হালকা ওজনের বাইকটি ক্রস-সেকশন রিয়ার টায়ারে ছুটবে।

Bajaj Pulsar N150 : ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

চাকায় গতি সঞ্চার করতে Pulsar N150-এ দেওয়া হয়েছে একটি ১৪৯.৬৮ সিসি, ফোর স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ১৪.৫ পিএস শক্তি এবং ১৩.৫ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। মোটরকে যোগ্য সঙ্গত দিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫-গতির গিয়ারবক্স। হার্ডওয়্যার হিসেবে দেওয়া হয়েছে সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনে মোনোশক ইউনিট। ব্রেকিংয়ের দায়িত্ব পালন করতে সামনে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সমেত ২৪০ মিমি ডিস্ক ও পেছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক উপস্থিত।