BMW CE 02: না বাইক, না স্কুটার, তাহলে কি? মোটা চাকার গাড়ি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সবার

প্রিমিয়াম টু-হুইলারের দুনিয়ায় বিএমডব্লিউ মোটোরাড (BMW Motorrad) একটি স্বনামধন্য নাম। সমগ্র বিশ্বে বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থার ঝোঁক বাড়তে দেখে এবারে জার্মান সংস্থাটিও এক্ষেত্রে পা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি বিএমডব্লিউ তাদের একটি নতুন ইলেকট্রিক টু-হুইলার লঞ্চ করেছে। যার নাম BMW CE 02। শহর এবং মফস্বলে চলাচলের উপযোগী মডেলটি না মোটরসাইকেল, না তো স্কুটার। সংস্থার দাবি এটি ই-পার্কোরার ঘরানার দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি।

BMW CE 02 : স্পেসিফিকেশন, রেঞ্জ ও ব্যাটারি

হাইওয়ে এবং মফস্বলের রাস্তায় চলাচলে অধিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে BMW CE 02-তে দেওয়া হয়েছে মোটা চাকা। এর ফ্রেম, হুইল, ফ্রন্ট ফেন্ডার এবং ফেয়ারিং কালো রঙে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এতেও যাদের মন ভরবে না, তাঁদের জন্য রয়েছে CE 02-এর হাইলাইন ভার্সন। যাতে গোল্ড অ্যানোডাইজড ফর্ক এবং টেপ ডিজাইন উপলব্ধ।

BMW CE 02 দুটি স্ট্যান্ডার্ড রাইডিং মোড সহ এসেছে – ফ্লো (Flow) এবং সার্ফ (Surf)। প্রথমটি হল শহরের যানজটপূর্ণ রাস্তায় চলাচলের জন্য উপযোগী মোড। যেখানে দ্বিতীয়টি রাইডিংয়ের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে প্রস্তুত। আবার হাইলাইন ভার্সনে রয়েছে অতিরিক্ত “ফ্ল্যাশ” মোড।

বিএমডব্লিউ-এর এই টু-হুইলারটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সর্বোচ্চ আউটপুট ১৫ বিএইচপি (১১ কিলোওয়াট)। এটি ১৬ বছর বা তার ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীদের জন্য। সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার। আর কম গতির ভার্সনটির আউটপুট ৫ বিএইচপি (৪ কিলোওয়াট)। ৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ যুক্ত মডেলটি ১৫ বছরের কম রাইডারদের জন্য উপযুক্ত।

বিএমডব্লিউ এই CE 02-তে একটি ০.৯ কিলোওয়াট ক্ষমতার এক্সটার্নাল চার্জার অফার করেছে। ফলে বাড়িতে রেখেও এটি চার্জ করা যাবে। আবার ১১ কিলোওয়াট ভার্সনের সাথে অপশনাল ফিচার হিসাবে রয়েছে ১.৫ কিলোওয়াট কুইক চার্জার। ১১ কিলোওয়াট এবং ৪ কিলোওয়াট ভার্সনের ওজন যথাক্রমে ১৩২ কেজি ও ১১৯ কেজি। উভয় মডেলের মাটি থেকে সিটের উচ্চতা ৭৫০ মিমি। প্রথমটি ফুল চার্জে ৯০ কিলোমিটার রেঞ্জ প্রদান করবে বলে দাবি করেছে সংস্থা।

ইলেকট্রিক ভেহিকেলটিতে উপলব্ধ ডবল লুপ টিউব ফ্রেম, টেলিস্কোপিক ফর্ক, সিঙ্গেল সাইডেড সুইংআর্ম, এবং কাস্ট লাইট অ্যালয় হুইল। সংস্থার এবিএস সহ ইলেকট্রিক টু-হুইলারটিতে ডিস্ক ব্রেক বর্তমান। এছাড়া রয়েছে ইউএসবি চার্জিং সকেট, একটি ডিএফটি ডিসপ্লে। হাইলাইন মডেলে রয়েছে ক্র্যাডেল মোড। হ্যান্ডেলবার কি প্যাড-এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকার জন্য এটি অধিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। আবার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কানেক্ট করে বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে। ভারতীয় মুদ্রায় গাড়িটির দাম প্রায় ৬.৩ লক্ষ টাকা। ফলে এই ধরনের ইলেকট্রিক টু-হুইলার ভারতে লঞ্চের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।