স্মার্টফোনের জন্য ক্ষতিকারক FMWhatsApp! ভারতে ব্যান হওয়া এই অ্যাপ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন

এমনিতে WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ) একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ, যা অনেক ইউজারদের প্রচুর ফিচার অফার করে। পাশাপাশি এটি ক্রমাগত নতুন আপডেট প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এই প্ল্যাটফর্মটির ফিচার বা সুবিধা একটু বাঁধা ধরা। তাই ইউজাররা বেশি কিছু পেতে ইতি উতি সন্ধান করেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্ট লোক বা সংস্থা ভুয়ো WhatsApp আপডেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার কাজ করে। সম্প্রতি FMWhatsApp (এফএমহোয়াটসঅ্যাপ) নামে একটি ক্লোন অ্যাপ এভাবেই ইউজারদের বোকা বানাতে সচেষ্ট হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, এই অ্যাপ্লিকেশনে আসল WhatsApp-এর থেকে বেশি ফিচার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি ব্যবহার করা বিপজ্জনক। উল্লেখ্য, FMWhatsApp অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ নয় (কারণ এদেশে এটি নিষিদ্ধ); কিন্তু একে থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

FMWhatsApp বিদ্যমান WhatsApp থেকে কতটা আলাদা

১. এফএমহোয়াটসঅ্যাপ একই সময়ে একটি ডিভাইসে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ একসাথে ব্যবহারের অনুমতি দেয়।

২. ইউজাররা এফএমহোয়াটসঅ্যাপের ইন্টারফেস বা চেহারা কাস্টমাইজ করতে পারেন। এছাড়াও এটির থিম পরিবর্তন করা যাবে।

৩. এই অ্যাপে কাউকে মেসেজ পাঠাতে মোবাইল নম্বর সেভ করার দরকার নেই।

৪. ক্লোন অ্যাপটি থেকে একবারে সর্বাধিক ৫০০ জনকে একটি মেসেজ পাঠানো যেতে পারে যেখানে আসল হোয়াটসঅ্যাপে এই রিসিপেন্ট সংখ্যা ২৫০। তাছাড়া এটি আপনাকে বিপুল সংখ্যক ফাইল পাঠাতে দেয়।

৫. কেউ স্ট্যাটাস ডিলিট করে থাকলে তা দেখার
সুবিধাও পাওয়া যায় এফএমহোয়াটসঅ্যাপে।

FMWhatsApp কতটা ক্ষতিকারক?

এফএমহোয়াটসঅ্যাপের কোনো অফিসিয়াল সংস্করণ মার্কেটে উপলব্ধ নেই। এমতাবস্থায় এই অ্যাপে নিরাপত্তাগত ঝুঁকি রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলী অনুযায়ী, যদি কেউ পরিবর্তিত অ্যাপ ডাউনলোড করে তবে তার আসল হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে বেশিরভাগ টুইকড হোয়াটসঅ্যাপ ম্যালওয়্যার সহ আসে। তাই এগুলি ব্যবহারে প্রতারণার সম্ভাবনা বেড়ে যায়!