ইলেকট্রিক গাড়ির শুল্ক হ্রাস, বৈদ্যুতিক বাইকের উপরে সাবসিডি, বিনিয়োগ টানতে যে যে পদক্ষেপ নিল এই দেশ

বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রতি দেশে বসবাসকারী সকল মানুষের আগ্রহ বাড়াতে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা থাইল্যান্ড সরকারের। দেশের নাগরিকদের সাথে থাইল্যান্ডে বসবাসকারী “বিত্তবান” বিদেশিদের জন্যও ইলেকট্রিক গাড়িতে কর ছাড় এবং ভর্তুকির দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এ বছর থেকে এবং পরবর্তীতে ২০ লক্ষ মিলিয়ন বাথ (প্রায় ৪৬.২৫ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত দামের গাড়িতে ৪০ শতাংশ এবং ২০-৭০ লক্ষ মিলিয়ন বাথ মধ্যে মূল্য থাকা বৈদ্যুতিক গাড়িতে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী আরখম (Arkhom)।

এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করার ক্ষেত্রে ২-৮ শতাংশ আবগারী করে ছাড় মিলবে। ফলে এই কর ছাড়ের ঘোষণার প্রথম বছরে ৭,০০০ ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি হতে পারে বলে আশাবাদী সে দেশের সরকার। আবার পেনশনভোগী এবং ‘লাখোপতি’ বিদেশিদের আকৃষ্ট করার জন্য আয়কর ছাড়ের পরিমাণ ৩৫% থেকে কমিয়ে ১৭% করা হয়েছে। ২০২২-২৫ পর্যন্ত বৈধতার ইলেকট্রিক ভেহিকেল (EV) স্কিমটি গত সপ্তাহে অনুমোদিত করা হয়েছে।

এই ইভি স্কিমের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে থাইল্যান্ডে উৎপাদিত সমস্ত গাড়ির মধ্যে অত্যন্ত ৩০% যেন বৈদ্যুতিক হয়৷ বিশ্বের প্রথম সারির গাড়ি প্রস্তুতকারী দেশগুলির মধ্যে থাইল্যান্ড একটি। এখানে প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ যানবাহন উৎপাদন করা হয়। টয়োটা, হন্ডা, মিতসুবিশির মতো সংস্থার সে দেশে কারখানা রয়েছে। নির্বাচিত সংস্থাগুলিচে বৈদ্যুতিক গাড়ি পিছু ৭০,০০০ বাথ (প্রায় ১.৬১ লক্ষ টাকা) থেকে ১,৫০,০০০ বাথ (প্রায় ৩.৪৬ লক্ষ টাকা) এবং ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল পিছু ১৮,০০০ বাথ (প্রায় ৪১ হাজার টাকা) ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আরখম।

এই প্রসঙ্গে আরখম বলেছেন, “কর্মসংস্থান তৈরি এবং বিনিয়োগ টানতে এই পদক্ষেপ। এটি অত্যন্ত জরুরি ছিল৷ না হলে আমরা গাড়ি উৎপাদনে গতি আনতে পারব না এবং অন্যান্যদের থেকে পিছিয়ে পড়বো।”