ভারতে পুজোর মুখে ১ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে Amazon

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে উপার্জন বা জীবিকা অর্জন করতেই হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে, সাধারণ মানুষ কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছুটা সমস্যায় রয়েছেন, বেড়েছে বেকারত্ব। এর ওপর লকডাউনের কারণে বহু মানুষের রুটিরুজি বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে, কিছুটা আশা দেখাচ্ছে Amazon বা Flipkart-এর মত সংস্থাগুলি। চলতি বছরের মে মাসে, Amazon India, সারা দেশে বিস্তৃত সংস্থার অপারেশনাল নেটওয়ার্কে এবং কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারগুলিতে প্রায় ৭০,০০০ সিজনাল বা মরসুমি কাজের সুযোগ দিয়েছিল। কয়েকমাস যেতে না যেতেই সংস্থাটি আরও কর্মী নিয়োগ করবে বলে জানালো।

গতকাল অর্থাৎ বুধবার, ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আসন্ন উৎসবের মরসুমে তারা দেশে এক লক্ষেরও বেশি সিজনাল জব বা মরসুমি কাজের সুযোগ দিতে চাইছে। এই মরসুমি কাজে নতুন কর্মী নিযুক্ত হলে সংস্থার ডেলিভারি সার্ভিস আরো উন্নত হবে এবং তারা সহজেই গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে পারবে – এমনটাই মনে করছে অ্যামাজন।

অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থাগুলি তাদের সেলের সময় গ্রাহকদের থেকে ব্যাপক সাড়া পায়। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সময় মত প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিতে এবং আরো অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করতে সংস্থাগুলি হাজার হাজার অস্থায়ী কর্মী নিযুক্ত করে। মনে করা হচ্ছে অ্যামাজন সেই কারণেই কর্মী নিয়োগ করছে।

ইতিমধ্যেই সংস্থাটি তার পার্টনার নেটওয়ার্ক চেনে অর্থাৎ ট্রাকিং পার্টনার, প্যাকেজিং ভেন্ডর, ডেলিভারি পার্টনার, ফ্লেক্স পার্টনার ইত্যাদি বিভাগে কয়েক হাজার মানুষের কাজের পরোক্ষ সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও এই বিভাগগুলিতে আরও নিয়োগ চলছে। সংস্থার দাবি, তারা ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে এক মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে। এই কারণে, সংস্থাটি – টেকনোলজি, ইনফ্রাস্টাকচার এবং লজিস্টিক নেটওয়ার্কে আরো বিনিয়োগ করবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরে Amazon India এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী Flipkart, ফেস্টিভ সেলের সময় সমগ্র প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ১.৪ লক্ষেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিল। রেডসির নামের জনপ্রিয় কনসাল্টিং কোম্পানি অনুমান করছে, চলতি বছরে উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন ই-কমার্স ও লজিস্টিক সংস্থাগুলি প্রায় তিন লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে।

এদিকে, কয়েকমাস আগে অ্যামাজন ইন্ডিয়া সারা দেশে ১০টি নতুন ওয়ারহাউস বা গুদাম চালু করবে বলে ঘোষণা করেছে এবং সংস্থার বিদ্যমান ৭টি কেন্দ্রের সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বর্তমানে, সমগ্র দেশ জুড়ে সংস্থাটির ১০ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে। তবে এই করোনা অতিমারীর পরিস্থিতিতে সংস্থাটি যেভাবে মানুষের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ দিচ্ছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়!