World’s First Ethanol Refinery from Bamboo: ভারতে বিশ্বের প্রথম বাঁশ থেকে তৈরি ইথানল শোধনাগার গড়ে উঠছে

বিশ্বের প্রথম বাঁশ থেকে তৈরি ইথানল শোধনাগার কেন্দ্র তৈরি হতে চলেছে ভারতে। এই প্রেক্ষিতে হায়দরাবাদের নাগার্জুন গোষ্ঠীর (Nagarjun Group) সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মহারাষ্ট্রের লাটুরে অবস্থিত কৃষক নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা লোডগা বাম্বু ইন্ডাস্ট্রিজ (Lodga Bamboo Industries)। কেন্দ্রটিতে দৈনিক ৩০,০০০ লিটার ইথানল উৎপাদন ও শোধন হবে। এর ফলে ইথানলের দাম যেমন কমে আসবে, তেমনই কৃষকদের ভাল রোগজারের সুব্যবস্থা হবে৷

উল্লেখ্য এর আগেও বিকল্প জ্বালানির মধ্যে অন্যতম ইথানল তৈরির জন্য বাঁশের ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছিল আসামের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (NRL)। সংস্থাটি কৃষকদের থেকে বাঁশ কিনে তা থেকে ইথানল প্রস্তুত করার বার্তা দিয়েছিল। আসলে বিকল্প জ্বালানীতে কেন্দ্রীয় সরকারের জোর দেওয়ার মুখ্য কারণ পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমানো এবং এর পাশাপাশি পেট্রল-ডিজেলের আমদানি কমিয়ে রাজকোষ সমৃদ্ধ করা।

ভারতে বর্তমানে পেট্রলে ৮.৫% ইথানল মেশানো যায়। আগামী কয়েক বছরে অবশ্য তা ১০% এবং ২০২৫ এর মধ্যে ২০% ইথানল মেশানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। এদিকে বাঁশ থেকে ইথানল প্রস্তুত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসায় এটি বেশ অনুমান করা যাচ্ছে যে, আগামীতে দেশের বাঁশ কৃষকরা অধিক মুনাফা ঘরে তুলতে পারবেন। সরকারের তরফেও এই প্রসঙ্গে একাধিকবার আলোকপাত করা হয়েছে।

দুই সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নাগার্জুন গোষ্ঠীর হয়ে উপস্থিত ছিলেন ডঃ বাণীব্রত পান্ডে এবং লোডগা বাম্বু ইন্ডাস্ট্রিজের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পাশা পাটেল (কৃষকদের নেতা এবং প্রাক্তন বিধান পরিষদের সদস্য)। পাটেল মন্তব্য করেন, “এটি বিশ্বের প্রথম শোধনাগার প্রকল্প যেখানে বাঁশ থেকে দৈনিক ৩০,০০০ লিটার ইথানল প্রস্তুত হবে।” প্রকল্পটিতে সংস্থা দু’টি ৬৫ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবে। এ জন্য ১,৫০০ একর জমিতে জন্মানো বার্ষিক ৬০,০০০ টন বাঁশের প্রয়োজন পড়বে।

পাটেল বাঁশ চাষের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলেছেন, “যদিও জমি থেকে বাঁশ কাটার দু’বছর পর বা রোপণের তিন বছরের মাথায় সেগুলি ইথানল প্রস্তুতির জন্য নেওয়া হবে, ওই দুই বছরে কৃষকরা জমিতে আন্তঃফসল চাষ করতে পারবেন। বাঁশ বাস্তবিক অর্থেই ‘সবুজ সোনা’র পরিচয়ে বেঁচে থাকে। এই বছর ১০,০০০ এর অধিক মহারাষ্ট্রের কৃষক প্রায় ১৫,০০০ একর জমিতে চাষের বীজ রোপন করেছেন।”