পুরনো দলে গম্ভীর ফেরায় খুশি বিসলা, নতুন সিজনে KKR-এর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা কতটা, জানিয়ে দিলেন

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ২০১২ সালের আইপিএলের ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মানবিন্দর বিসলা ৪৮ বলে ৮৯ রান করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন।

২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে (IPL) একাধিক তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করছেন। এদের মধ্যেই বহু খেলোয়াড় ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। তবে অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে সাময়িক সময় জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পরবর্তীকালে তারা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছেন। একইরকমভাবে বর্তমানে চর্চায় না থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) আইপিএল জয়ী ক্রিকেটার মানবিন্দর বিসলা (Manvinder Bisla) এবার দলের বিষয় একাধিক তথ্য সামনে আনলেন।

মানবিন্দর বিসলা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরমেন্স করার পর আইপিএলেও নিজের পরিচয় তৈরি করেছিলেন। এর সঙ্গেই তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে সাফল্য এনে দেন। এরসঙ্গেই ২০১২ সালে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে নাইট বাহিনী প্রথম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই বছর কলকাতার হয়ে ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে বিসলা ৪৮ বলে ৮৯ রান করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। এমনকি ২০১৪ আইপিএল জয়ী এই দলে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন।

এবার ২০২৪ আইপিএলের আগে মানবিন্দর বিসলা ক্রিকেট কান্ট্রিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকেআরের পুরনো স্মৃতি তুলে এনে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, “কলকাতার সঙ্গে আমার ৪ বছর খুবই ভালো কেটেছে। দুবার চ্যাম্পিয়নও হয়েছি‌। ২০১৪ সালের পর কখনও মনে হয়নি দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। খুবই ভালো বিষয় যে গৌতম গম্ভীর আবার দলে ফিরে এসেছেন। কলকাতা দুবার চাম্পিয়ন হওয়ার সময় গম্ভীর অধিনায়ক ছিলেন। সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেলও কলকাতার আইপিএল জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। আমার মনে হয় গৌতম গম্ভীর দলে ফিরে আসায় এই দুই ক্রিকেটারও খুব খুশি হয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “দলের সিইও ভেঙ্কি মাইসোরও দীর্ঘদিন আছেন। তিনি জানেন একটি শক্তিশালী দল কিভাবে তৈরি করতে হয়। শাহরুখ খানও কেকেআর দলকে আগলে রেখেছেন। ফলে ক্রিকেটারদের কোনোরকম অসুবিধা হয় না। আপনি যেকোনো ক্রিকেটারকে জিজ্ঞাসা করবেন তিনি বলবেন কেকেআরে তিনি সবচেয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। সবাইকে পরিবারের মতো একসাথে রাখা হয়। আমায় যদি জিজ্ঞাসা করেন আমি বলবো কলকাতায় আমি আমার ক্রিকেট জীবনের সেরা ৪ বছর কাটিয়েছি।”