লঞ্চ হল ৭৯০ ডিউক এর সাকসেসর KTM 890 Duke, ভারতে কত দাম হতে পারে জেনে নিন

ভারত স্টেজ ৬ (বিএস-৬) এবং ইউরো ৫ বিধি বলবৎ হওয়ার পর সেই মাপকাঠি অনুসরণ করে KTM (কেটিএম) 790 Duke-এর ইঞ্জিন আপগ্রেড করে নতুনভাবে আর লঞ্চ করে নি। বাজার থেকে মডেলটি তুলে নেওয়ার পর কেটিএম এবার ৭৯০ ডিউক-এর সাকসেসর হিসেবে 890 Duke-এর ওপর থেকে পর্দা তুলেছে। ডিজাইন ও স্টাইলের দিক থেকেও দুটি মডেলের মধ্যে খুব একটা ফারাক চোখে পড়বে না। 790 Duke-এর মতো 890 Duke এলইডি হেডলাইট, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, প্লাস্টিক ট্যাঙ্ক এক্সটেনশন, এবং সিট সহ এসেছে। তবে KTM 890 Duke-এর সিটের উচ্চতা ৮২০ মিমি রাখা হয়েছে যা 790 Duke-এর তুলনায় ৫ মিমি কম।

প্রথমে KTM 890 Duke-এর ইঞ্জিনের কথায় আসা যাক। এখন এই বাইককে শক্তি যোগাবে আরও পরিবেশবান্ধব ইঞ্জিন। এই বাইকে রয়েছে বিএস-৬/ইউরো ৫-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ৮৮৯ সিসি, প্যারালাল টুইন, লিকুইড কুল্ড LC8c ইঞ্জিন। এটি ১১৫ বিএইচপি এবং ৯২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এতএব ইঞ্জিনটি KTM Duke 790-এর তুলনায় আরও ১০ বিএইচপি এবং ৫ এনএম বেশী আউটপুট দেবে। কেটিএম দাবি করছে যে ইঞ্জিনের ঘূর্ণন ভর এখন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা কর্নারিং ট্যাকেল করার সময় বেশী স্থিতিশীলতা এবং পরিমার্জিত পারফরম্যান্স দেবে। কেটিএম ৭৯০-এর অনুরূপ কেটিএম ৮৯০-এর ড্রাই ওজন ১৬৯ কেজি। যার অর্থ, ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট বৃদ্ধি পেলেও এর পাওয়ার-টু-ওয়েট অনুপাত পূর্ববর্তী মডেলের তুলনায় বেশী। সুতারাং কম সময়ে বাইকটি আরও দ্রুত গতি তুলতে পারবে।

অ্যালুমিনিয়াম সাব-ফ্রেম সহ একটি ক্রোমিয়াম মলিডেনিয়াম স্টিল ফ্রেমের ওপর কেটিএম ৮৯০ ডিউক মোটরবাইকটি বানানো হয়েছে। সাসপেনশনের জন্য এর সামনে ৪৩ মিমি WP Apex USD আপফ্রন্ট ও পিছনে গ্যাস-চার্জড মনোশক ইউনিট দেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী ম্যাক্সক্সিস টায়ারের পরিবর্তে বাইকের চাকা এখন কন্টিনেন্টাল কন্টিরোড টায়ারের সাথে সজ্জিত।

KTM 890 Duke-এর ইলেকট্রনিক্স ফিচারের কথা বলতে গেলে, এটি চারটি রাইডিং মোডের সাথে এসেছে- স্ট্যান্ডার্ড রেইন, স্ট্রিট,স্পোর্ট মোড এবং অপশনাল ট্র্যাক মোড। থ্রটল রেসপন্স, এবিএস, কর্ণারিং এবিএস, প্রভৃতির জন্য প্রত্যেকটি মোডে আলাদা সেটিংস রয়েছে। মোটরসাইকেলটিতে IMU অ্যাসিস্টেড 6D লিন এঙ্গেল সেন্সরও পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে মিলবে বাই-ডাইরেকশনাল কুইক-শিফটার।

KTM 890 Duke নতুন স্টিকার এবং ব্ল্যাকড- আউট অ্যালুমিনিয়াম সাবফ্রেম সহ কালো ও কেটিএমের সিগনেচার কমলা রঙের বিকল্পে উপলব্ধ হবে। পরবর্তী কয়েকমাসের মধ্যে আর্ন্তজাতিক বাজারে ৮৯০ ডিউকের বিক্রী শুরু হয়ে যাবে। সংস্থা বাইকটিকে চলতি বছরের শেষে ভারতে আনতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভারতে এর দাম ৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি হতে পারে।