ভরপুর ফিচারের সাথে লঞ্চ হল iQOO 7, রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর

অবশেষে লঞ্চ হল স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসরের দ্বিতীয় ফোন iQOO 7। আপাতত ফোনটিকে চীনে লঞ্চ করা হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখেনা এটি একটি 5G ফোন যেটি গেমারদের জন্য ভরপুর ফিচার সহ এসেছে। আইকো ৭ ফোনে তিন ধরণের ফিনিশ আছে, যার মধ্যে একটি BMW M Motorsport এর পার্টনারশিপ করে আনা হয়েছে। এছাড়াও iQOO 7 ফোনে আছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা, ৪,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি ও ১২ জিবি পর্যন্ত র‌্যাম।

iQOO 7 এর দাম ও লভ্যতা

আইকো ৭ ফোনটির দাম শুরু হয়েছে ৩,৭৯৮ ইউয়ান থেকে, যা প্রায় ৪৩,০৯০ টাকা। এই দাম ফোনটির ৮ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের। এছাড়াও ফোনটির আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে – ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ। এর দাম ৪,১৯৮ ইউয়ান (প্রায় ৪৭,৫৯০ টাকা)। ফোনটি তিনটি কালারে পাওয়া যাবে – ব্ল্যাক, ল্যাটেন্ট ব্লু এবং লিজেন্ডারি বিএমডাব্লু এডিশন (Legendary BMW Edition)।

আজ থেকেই iQOO 7 ফোনের প্রিঅর্ডার শুরু হবে। প্রি-অর্ডারকারী ইউজাররা ফ্রি স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট, ২৪ মাস পর্যন্ত ইএমআই, অতিরিক্ত ৬ মাস ওয়ারেন্টি প্রভৃতি সুবিধা পাবে। ব্লু কালার বাদে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে এর সেল শুরু হবে। যদিও ফোনটি গ্লোবাল মার্কেটে কবে আসবে তা এখনও জানা যায়নি।

iQOO 7 এর স্পেসিফিকেশন

আইকো ৭ ফোনে আছে ৬.৬২ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লের পিক্সেল রেজোলিউশন ১০৮০ x ২৪০০, আসপেক্ট রেশিও ২০:৯, স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৯১.৪ এবং রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। আবার এর টাচ শ্যাম্পেলিং রেট ৩০০ হার্টজ এবং এতে HDR 10+ কনটেন্ট সাপোর্ট করবে। ফোনটিতে অ্যান্টি গ্লেয়ার গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লে ডিজাইন পাঞ্চ হোল, যার মধ্যে আছে এফ/২.০ অ্যাপারচার সহ ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

iQOO 7 ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর। সাথে আছে এড্রেনো ৬৬০ জিপিইউ। আবার এতে ১২ জিবি র‌্যাম (LPDDR5) ও ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ (UFS 3.1) উপলব্ধ। জানিয়ে রাখি এই ফোনটিও কোম্পানির অন্যান্য ফোনের মত কেপিএল গেমিং সেন্ট্রিক স্মার্টফোন। যেকারণে এতে দেওয়া হয়েছে – প্রেসার সেন্সিটিভ স্ক্রিন (মনস্টার টাচ), ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার (মনস্টার বিট) ও 3D ভাইব্রেশন ডুয়েল লিনিয়ার মোটর (মনস্টার ইঞ্জিন)। সাথে আছে মাল্টি-টার্বো ৫.০, ওয়ান-টাচ গেম স্পেস, জিভয়েস অপ্টিমাইজেশান প্রযুক্তি প্রভৃতি।

এই ফোনের ক্যামেরার বিষয়ে বললে, এর পিছনে আয়তকার সেটআপে তিনটি ক্যামেরা আছে। যার প্রাইমারি ক্যামেরা এফ/১.৭৯ অ্যাপারচার সহ ৪৮ মেগাপিক্সেল। এর সাথে OIS সাপোর্ট করবে। অন্য দুটি ক্যামেরা একটি হল ১২০ ডিগ্রি ফিল্ড অফ ভিউ সহ ১৩ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স (এফ/২.২) এবং অন্যটি ৫০মিমি ফোকাল লেন্থ সহ ১৩ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট সেন্সর (এফ/২.৪৬)। এই ক্যামেরায় ২০এক্স ডিজিটাল জুম সাপোর্ট করবে। এছাড়াও নাইট মোড ২.০, প্যানোরোমা প্রভৃতি ফিচার দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ারের জন্য iQOO 7 ফোনে দেওয়া হয়েছে ৪,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি (দুটি ২,০০০ এমএএইচ)। সাথে ১২০ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জিং সাপোর্ট করবে। যা ১৫ মিনিটে ফোনকে ফুল চার্জ করে দেবে। এতে ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট নেই। বক্সের মধ্যে ১২০ ওয়াট স্ট্যান্ডার্ড চার্জার ও ১.৫ মিটার কেবল দেওয়া হবে। চার্জিংয়ের জন্য এই ফোনে আছে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট। ফোনটি ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সহ এসেছে। এটি অ্যান্ড্রয়েড ১১ বেসড অরিজিনওএস এ চলবে। ফোনটির ওজন ২০৯.৫ গ্রাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *