পাওয়ার-ফিচার্সে সেরা, বাজেট সামান্য বেশি হলে আপনার জন্য এই 5 বাইকের বিকল্প নেই

দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির নৌকায় চেপে ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক কালে ভারতের প্রিমিয়াম মোটরসাইকেলের চাহিদা বেড়েছে যথেষ্ট। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে একাধিক মডেল। এই প্রতিবেদনে ২ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা বাজেটের মধ্যে এমনই সামনে আগত কয়েকটি নতুন বাইকের সন্ধান দিলাম আমরা।

TVS Apache RTR 310

তামিলনাড়ুতে বেড়ে ওঠা টিভিএস মোটর কোম্পানি আজই লঞ্চ করতে চলেছে তাদের নতুন এন্ট্রি লেভেল নেকেড বাইক। এটি Apache Street 310 কিংবা RTR 310 নাম নিয়েই আত্মপ্রকাশ করবে। এক কথায় বলতে গেলে এই বাইকটি আদতে Apache RR 310 এর নেকেড সংস্করণ। ইতিমধ্যে প্রকাশিত টিজারে দেখা গিয়েছে বাইকটির সামনের দিকে তুলনামূলক নিচের দিকে লাগানো রয়েছে দুই ভাগে বিভক্ত এলইডি হেড ল্যাম্প, এক পাশে রয়েছে এগজস্ট পাইপ, পিছনের দিকের সূচালো অংশ, খানিকটা পেছনদিকে লাগানো ফুটপেগ, একটানা লম্বা হ্যান্ডেল বার, মাসকুলার ফুয়েল ট্যাংক এবং একটি স্প্লিট সিট।

সাসপেনশন সেটআপ হিসেবে সামনের দিকে সম্ভবত থাকবে নন এডজাস্টেবল ইউএসডি ফর্ক এবং পিছনে প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল মনোশক সাসপেনশন। একে চালিকাশক্তি সরবরাহ করবে পূর্বের ন্যায় ৩১২.৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ইঞ্জিন যা ৩৪ পিএস শক্তি এবং ২৭.৩ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম।

KTM 390 Duke

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকেই কেটিএম ভারতে আনতে পারে 390 Duke এর নতুন সংস্করণ। বাইকটি স্টাইল, এলইডি হেড লাইট, বুমেরাং আকৃতির ডিআরএল, স্প্লিট সিট সেটআপ এই সমস্ত কিছুতেই থাকবে নতুনত্বের ছোঁয়া। পিছনের অংশে সাবফ্রেম বাইরে থেকে নজরে আসে এবং বাইকটিতে বসার ভঙ্গি বেশ স্পোর্টি। KTM 390 Duke এর মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে ৩৯৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন।

সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স সমৃদ্ধ ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৪৪.২৫ বিএইচপি শক্তি এবং সর্বাধিক ৩৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এছাড়াও স্লিপার ক্লাচ এর সাথে কুইক শিফটার, স্ট্রিট, রেন ও ট্র্যাক এই তিন ধরনের রাইডিং মোড, সামনের দিকে লাগানো ৪৩ মিমি চওড়া ইউএসডি ফর্ক (কম্প্রেশন এডজাস্টিবিলিটি সহ) এই সমস্ত কিছুই থাকবে এতে।

Aprilia RS 440

KTM 390 Duke এবং Kawasaki Ninja 400 কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে ভারতে Aprilia লঞ্চ করতে চলেছে তাদের কম শক্তিশালী একটি স্পোর্টস বাইক। যার নাম RS 440। ফুল ফেয়ারিং যুক্ত এই স্পোর্টস বাইকটি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করবে। বাইকটির স্টাইল এবং ডিজাইন বেশিরভাগটাই RS 660 এবং RSV4 এই দুটি সুপারবাইক থেকে অনুপ্রাণিত। এমনকি RS 660 এর প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন এর উপর নির্ভর করে এতে চালিকাশক্তি যোগাবে ৪৪০ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। আনুমানিক ৩.৫০ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যেই মিলবে Aprilia RS 440 বাইকটি।

Royal Enfield Himalayan 450

বহুপ্রতীক্ষিত রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৪৫০ বাইকটি আগামী ১লা নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ভারতে। সংস্থার ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য এই বাইকে ব্যবহার করা হবে লিকুইড কুলিং প্রযুক্তি সম্বলিত ইঞ্জিন। ৪৫০ সিসির এই ইঞ্জিনটি প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বিএইচপি শক্তি এবং ৪০ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারবে। এছাড়াও এলইডি লাইটিং সিস্টেম, ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, থ্রি ইন ওয়ান টেল ল্যাম্প সেটআপ, দুটো এলইডি ফ্ল্যাশার, সামনের গ্রিল, বড় উইন্ডস্ক্রীন থাকবে এই বাইকে। রয়্যাল এনফিল্ড হিমালয়ান ৪৫০ এর আনুমানিক মূল্য হবে ২.৫০ লাখ টাকার আশেপাশেই।

Triumph Scrambler 400X

Speed 400 লঞ্চ করার পর এবার তাদের আরো একটি নতুন বাইক Scrambler 400X এর দাম ঘোষণা করার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্রায়াম্ফ মোটরসাইকেলস ইন্ডিয়া। এতে ৩৯৮ সিসির লিকুইড কুল্ড DOHC ইঞ্জিনের সঙ্গে সিক্স স্পিড গিয়ার বক্স। এই ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৪০ বিএইচপি এবং ৩৭.৫ এনএম।

টিউবুলার স্টিল থেকে তৈরি হাইব্রিড পেরিমিটার ফ্রেম এর উপর নির্ভর করেই বানানো হয়েছে বাইকটি। সামনের দিকে ১৯ ইঞ্চি ও পিছনের দিকে থাকা ১৭ ইঞ্চির অ্যালয় হুইলের সঙ্গে লাগানো রয়েছে Metzeler Karoo Street এর টায়ার। এছাড়াও Triumph Scrambler 400X বাইকটির সামনের দিকে ৪৩ মিমি চওড়া বিগ পিস্টন ফর্ক এবং পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার ব্যবহার করা হয়েছে। উভয়দিকেই এই সাসপেনশন ১৫০ মিমি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এই নতুন বাইকটির সম্ভাব্য দাম হবে ২.৫০ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যেই।