‘এভাবে তো খেলা‌ যাবেনা’, রঞ্জিতে‌ শতরান করে মাঠের বাইরেও ছক্কা শার্দুলের, গোনালেন BCCI-এর ভুল

ঠাকুর বলেন, নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর মধ্যে তিন দিনের ব্যবধানে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে, কারণ আগে এমনটা ছিল না।

ভারত ও মুম্বাইয়ের অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur) বলেছেন যে বিসিসিআইকে (BCCI) আগামী বছরের রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সূচি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ১০টি ম্যাচ খেললে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। ঠাকুর বলেন, নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোর মধ্যে তিন দিনের ব্যবধানে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে, কারণ আগে এমনটা ছিল না।

তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করার পর ঠাকুর বলেন, “এটা খুব কঠিন কারণ আমরা তিন দিনের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছি যা রঞ্জি ট্রফি মরসুমে আগে কখনও ঘটেনি। প্রোগ্রামটি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। খেলোয়াড়রা যদি আরও দুই মরসুম এভাবে খেলতে থাকে, তাহলে দেশের অনেক খেলোয়াড় চোটিল হয়ে পড়বে।”

ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নিয়ে শার্দুল ঠাকুর বলেন, ‘আগামী বছর বিসিসিআইকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে আরও বিরতি দিন দিতে হবে। কয়েক বছর আগেও রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের মাঝে খেলোয়াড়রা অনেক দিন পেতেন। আমার রঞ্জি ট্রফির খেলার দিনগুলির কথা মনে আছে, যখন ৭-৮ বছর আগে প্রথম তিনটি ম্যাচে ৩-৩ বিরতি থাকত, তারপরে ৪-৪ দিনের বিরতি থাকত এবং নকআউট পর্বে পাঁচ দিনের বিরতি থাকত। ‘

তিনি বলেন, ”এ বছর আমরা দেখেছি সব ম্যাচের মধ্যে তিন দিনের ব্যবধান থাকে। দল যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা ১০ ম্যাচ খেলবে এমনটা আশা করা খুবই কঠিন। এছাড়া গ্রুপে যখন নয়টি দল ছিল, তখন একটি দল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে বিরতি পায়। এখন একটি গ্রুপে মাত্র আটটি দল রয়েছে এবং প্রতিটি দল একে অপরের সাথে খেলছে, তাই এই বিরতিও এখন শেষ।”