ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালাচ্ছেন? দেখা যাচ্ছে না কিছুই? দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন গাড়ি চালকরা। দৃশ্যমানতা খুব কম থাকায় অতিরিক্ত গাঢ় কুয়াশা এই সময় বেশিরভাগ গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনে অন্যতম শত্রু হিসেবে পরিগণিত হয়। সুরক্ষিতভাবে কুয়াশার বাধা পেরিয়ে গাড়ি চালাতে হলে তাই মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিপদ এড়াতে তাহলে কী কী করবেন? সেই নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

রাস্তায় শৃঙ্খলা মেনে চলুন

বেশি দূরে দৃষ্টি না পৌঁছালে রাস্তায় অতি অবশ্যই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বিশেষত কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় সঠিকভাবে ড্রাইভিং করা ভীষণ জরুরি। এক্ষেত্রে আগের গাড়িকে ওভারটেক করা থাকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলার চেষ্টা করুন। যদি সিঙ্গেল বা টু-লেন হয়, তাহলে ডান দিক চেপে চলার চেষ্টা করুন। কারণ বেশিরভাগ গাড়ি রাস্তার বাঁদিকে পার্ক করা থাকে।

হ্যাজার্ড লাইট অন করুন, কিন্তু সব ক্ষেত্রে নয়

দৃশ্যমানতা কম হলে অনেক সময়ই হ্যাজার্ড লাইট অন করে রাখতে হয়। কিন্তু তাই বলে সব সময় নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাড়ির হেডলাইট ও টেল লাইট রাস্তায় নিজের উপস্থিতি বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। এমনকি গাড়ি পার্কিং অবস্থাতে থাকলেও হ্যাজার্ড লাইট নিভিয়ে রাখা উচিত। তা না হলে পেছনের গাড়ি চালক মনে করতে পারেন সামনের গাড়িটিও গতিমান অবস্থায় রয়েছে। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ।

হেডলাইট লো-বিমে রাখুন

একটা ভুল ধারণা রয়েছে কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালালে হেডলাইটের আলো উপরের দিকে তুলে রাখতে। এমনটি করে দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি আদৌ বিশেষ কোনো উপকারে আসছে না। সাধারণত পরিষ্কার দৃশ্যমান অবস্থায় উল্টো দিক থেকে আসা দূরের গাড়িকে দেখতে ব্যবহৃত হয় এই হাই বিম। তাই ঘন কুয়াশায় লাইটের আলো নিচের দিকে নামিয়ে গাড়ি চালান।

সামনের গাড়ির সাথে সুরক্ষিত দূরত্ব বজায় রাখুন

কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালালে সামনের গাড়ির সাথে সুরক্ষিত দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। কারণ দৃশ্যমানতা কম থাকায় সামনের গাড়ি কখন ব্রেক কষেছে, তা বোঝা অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়। তা বলে প্রয়োজনের বেশি দূরত্ব বজায় রাখাও কাজের কথা নয়। সামনের গাড়ির সাথে মোটামুটি পঞ্চাশ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।

বিরতি নিন

কুয়াশার ঘনত্ব অত্যাধিক বাড়লে বুদ্ধিমানের কাজ, একটি সুরক্ষিত জায়গায় গাড়ি পার্ক করে পরিস্থিতি অনুকূল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ি চালালে চালকের ব্যাপক একাগ্রতার প্রয়োজন পড়ে। ফলে দ্রুত ক্লান্তি আসে। তাই এই সময় ড্রাইভিংয়ের থেকে বিরতি নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ।