উইচ্যাট কে ব্যান করার পরিনাম হবে ভয়ংকর, বিক্রি কমতে পারে Apple iPhone এর

চীন-আমেরিকার মধ্যে চলা বাণিজ্যেযুদ্ধে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য চীনা ও মার্কিন সংস্থা৷ এবার সেই তালিকায় নাম জুড়তে পারে Apple এর। আসলে WeChat এর সাথে আমেরিকান কোম্পানিগুলির ব্যবসা-বাণিজ্যে রাশ টানার উদ্দেশ্যে গত ৬ই আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সাইন করেছেন৷ কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশ মেনে মার্কিন বহুজাগতিক সংস্থা, অ্যাপেল যদি তাদের অ্যাপস্টোর থেকে উইচ্যাটকে ব্যান করতে বাধ্য হয়, তাহলে চীন-আমেরিকার মধ্যে চলা বাণিজ্যেযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে নবতম সংযোজন হতে পারে অ্যাপেল নিজেই৷

রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপেলের এই পদক্ষেপের ফলে আইফোনের বিক্রি ২০-৩০ শতাংশ এবং অ্যাপেলের অন্যান্য প্রোডাক্ট যেমন- আইপ্যাড, ম্যাক, অ্যাপেল ওয়াচের বিক্রি ১৫-২৫ শতাংশ কমে যেতে পারে৷ অ্যানালিসিস্ট Ming-Chu-Kuo-এর মতে, Apple এর প্ল্যাটফর্ম থেকে WeChat ব্যানের পরিণাম হতে পারে ভয়ংকর৷ কারণ আইফোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হলো চীন৷ এমনকি চীনে অ্যাপেলের বহু হার্ডওয়্যার ও তাদের প্রোডাক্ট অ্যাসেম্বলিং-এর প্লান্টও বর্তমান৷

তাছাড়া চীনে উইচ্যাটের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা একটি প্ল্যাটফর্মে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং থেকে আরম্ভ করে ই-কমার্স, অনলাইন পেমেন্ট, খবরের কাগজ পড়া, ইনস্টান্ট মেসেজিং সহ নানা প্রোডাক্টিভ কাজ করার সুবিধা ভোগ করে৷ স্বাভাবিকভাবেই চীনে উইচ্যাটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে৷ তাই মার্কিন প্রসাশনের নির্দেশ মেনে যদি উইচ্যাটকেই অ্যাপেল তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে চীনে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে মার্কিন সংস্থাটি৷

তবে Kuo এটাও জানিয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণটা একান্তই নির্ভর করছে অ্যাপেলের ওপর৷ এখন এটাই দেখার, এক্সিকিউটিভ অর্ডার অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে WeChat ব্যান করে Apple কি সেই নীতি শুধুমাত্র আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ রাখবে নাকি পুরো বিশ্বজুড়ে একই পন্থা গ্রহণ করবে। গত সপ্তাহে ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেটস মাইক পম্মেও উইচ্যাট ও টিকটকের উদ্যেশ্যে তোপ দেগে বলেছিলেন, “সেগুলি আমেরিকানদের গোপন তথ্য চিনে পাচার করছে ৷” একই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারতেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে টিকটক সহ একাধিক চাইনিজ অ্যাপ৷