Valentine’s Day-এর ঝটকা! ভালোবাসার উপহার পেতে গিয়ে মহিলা খোয়ালেন ৩.৬৮ লাখ

দিনের পর দিন অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা বাড়ছে, চোখ-কান একটু খোলা না রাখলেই পড়বেন বিপদে!

প্রতি বছরের মতই আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্বের বিভিন্ন কোণায় ভালোবাসার দিন হিসেবে সাদরে পালিত হয়েছে। আর বাংলা মাসের হিসেব মত আজ থেকেই শুরু হয়েছে বসন্ত অর্থাৎ প্রেমের ঋতু। ফলত খুব স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশের মন এখন প্রাণোচ্ছল (পড়ুন উড়ুউড়ু)! এক্ষেত্রে ভালোবাসা প্রকাশে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া বেশ সাধারণ এবং সুমিষ্ট ব্যাপার; কিন্তু যদি ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে ভালোবাসার মানুষের জন্যই হতে হয় সর্বস্বান্ত, তাহলে তার থেকে তিক্ত বিষয় বোধহয় আর কিছু হয়না। হ্যাঁ কংক্রিটে ভরা এই বর্তমানে এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে, তবে এইরকম অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে রয়েছে ‘অনলাইন প্রেম’! আসলে ইন্টারনেট-সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর এই সময়ে অনলাইন ডেটিং বা নেটমাধ্যমে বন্ধু পাতিয়ে মন দেওয়া নেওয়ার বিষয়টি খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি এমনই সম্পর্কের ফাঁদে পড়ে ভালোবাসার উপহার পেতে গিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকারও বেশি খুইয়েছেন এক মহিলা।

ভালোবাসার উপহার পেতে গিয়ে লাখো লাখো টাকা খোয়ালেন প্রৌঢ়া

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই কেলেঙ্কারিটি ঘটেছে মুম্বাইয়ের ৫১ বছর বয়সী এক মহিলার সাথে। ইনস্টাগ্রাম (Instagram) মানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একজন পুরুষের সঙ্গে ওই মহিলার পরিচয় হয়; অ্যালেক্স লরেঞ্জো নামে নিজের পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি মহিলাটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে উপহার পাঠানোর কথা বলেন। কিন্তু এরপরেই বাঁধে আসল গণ্ডগোল!

লরেঞ্জো ওই মহিলাকে বলেন – ভ্যালেন্টাইনের উপহারের পার্সেল পেতে তাঁকে ৭৫০ ইউরো (ভারতীয় মূল্যে ৬৬,৮৮৫ টাকা) দিতে হবে। কিন্তু ওই টাকা দেওয়ার পরেও সমস্যা মেটেনা। কুরিয়ার কোম্পানির তরফে বলা হয় যে, পার্সেলটির ওজন স্বাভাবিক সীমার চেয়ে ভারী, তাই এর জন্য অতিরিক্ত ৭২ হাজার টাকা লাগবে; মহিলাটি তাও দেন। এরপরে কুরিয়ার কোম্পানি ওই মহিলার সঙ্গে আবার যোগাযোগ করে এবং জানায়, পার্সেল ব্যাগে ইউরোপীয় মুদ্রা পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা এড়াতে আরও ২,৬৫,০০০ টাকা দাবি করা হয়, যা দিতে মহিলাটি বাধ্য হন। 

এখানেই শেষ নয়, পার্সেল সংগ্রহের জন্য মহিলাটি কাছ থেকে পুনরায় ৯৮,০০০ টাকা চাওয়া হয় যাতে তিনি কিছু গড়বড় অনুভব করেন। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। অন্যদিকে টাকা না দেওয়ায় অ্যালেক্স লরেঞ্জো তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করে এবং মহিলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করার কথা বলে। এরপর ওই মহিলা প্রতারণার কথা জানতে পেরে নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অনলাইন স্ক্যাম থেকে সাবধান থাকুন

অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। তাই চোখ কান খোলা রাখুন, কোনো উপহারের প্রলোভন পেয়ে নিজের সঞ্চিত অর্থ হারাবেননা।