Mobile Tower Fraud: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা, গায়েব ব্যবসায়ীর ৩০ লাখ টাকা

বাড়ির ছাদে কিংবা পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গায় মোবাইল টাওয়ার (Mobile Tower) বসানোর জন্য কেউ আপনাকে ফোন করছে? তাহলে সাবধান! ঠিকমতো যাচাই না করে এগোলে খোয়াতে পারেন লক্ষাধিক টাকা। কয়েক বছর আগে ভুবনেশ্বরের দেওগড় জেলার এক ব্যবসায়ী মোবাইলের টাওয়ার বসাতে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা খুইয়েছেন। ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কটক ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর সাইবার সেল ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে এবং অপরাধীদের পাকড়াও করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর দেওগড়ের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার ডালবেহরার (Sanjay Kumar Dalabehera) কাছে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই অপরিচিত ব্যক্তি ব্যবসায়ীর কাছে নিজেকে Reliance Jio-র বড় অফিসার বলে পরিচয় দেন। ফোনে তিনি ব্যবসায়ীর ৪০০ স্কোয়ার ফুট জায়গায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেন। জায়গার ভাড়া হিসাবে ১৫ লাখ টাকা এবং পরিবারের একজনকে রিলায়েন্স জিও তে চাকরির লোভও দেখান তিনি। সেইসঙ্গে মোবাইল টাওয়ারের সাইট লোকেশন, ব্যবসায়ীর আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস জানতে চান অপরিচিত ওই ব্যক্তি। এর পাশাপাশি মোবাইল টাওয়ারের লাইসেন্সের জন্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।

কোনও কিছু যাচাই না করেই সঞ্জয় কুমার অপরিচিত ওই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পাঠান এবং তার ব্যক্তিগত তথ্য জানান। এরপর গত দু’বছর ধরে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি, টেন্ডার ফাইল ভেরিফিকেশন ফি, অ্যান্টি পলিউশন চার্জ, ট্রান্সপোর্ট চার্জ, কোভিড ক্লিয়ারেন্স চার্জ, ট্যাক্স এবং জিএসটি বাবদ প্রায় ৩০ লাখ টাকা হাতায় প্রতারকরা।

পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ব্যবসায়ী সঞ্জয় কুমার ডালবেহরা যখন বুঝতে পারেন, তার সঙ্গে প্রতারণা চলছে তখন তিনি আমাদের কাছে অভিযোগ জানান। আমরা তদন্ত করে জানতে পারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে যে অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে, সেগুলি আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের।

এরপর কটক পুলিশের সাইবার সেলের তৎপরতায় গত জুলাই মাসে মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতারকদের মধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়।