সত্যিই টিনের বাক্স, নাকি লোহার মতো শক্ত? গাড়ির সুরক্ষা খতিয়ে দেখছে Maruti Suzuki

ভারতের রাস্তায় ছোটা সমস্ত প্যাসেঞ্জার গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে লঞ্চ হয়েছে ভারত এনক্যাপ বা বিএনক্যাপ (BNCAP)। যা আন্তর্জাতিক বাজারে গ্লোবাল এনক্যাপ (GNCAP)-এর মতো গাড়ির অভিঘাতের সক্ষমতা বিচার করে দেখবে। প্রথম Tata Motors নিজেদের তৈরি গাড়ির ক্র্যাশ টেস্টের জন্য সেখানে পাঠিয়েছে। এবারে সেই তালিকায় নাম লেখালো মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি সেফটি খতিয়ে দেখার জন্য তিনটি গাড়ির তালিকা তৈরি করেছে। এগুলি হল – প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক Baleno, সাব-কম্প্যাক্ট এসইউভি Brezza এবং মিড-সাইজ এসইউভি Grand Vitara।

Maruti-র তিন গাড়ি যাচ্ছে BNCAP-এর পরীক্ষায়

উপরিউক্ত তিনটি গাড়ির পর মারুতি সুজুকি তাদের Fronx-কেও ক্র্যাশ টেস্টের জন্য বিএনক্যাপ-এ পাঠাবে। সম্প্রতি গাড়িটি আবার এক লাখ ইউনিট বিক্রির মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সংস্থার খোদ কার্যনির্বাহী আধিকারিক শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব এই তথ্য সর্বসমক্ষে পেশ করেছেন।

এ কথা প্রায় সকলের জানা, গত ২০২১-এ লাতিন এনক্যাপ-এ ভারতে তৈরি Maruti Suzuki Baleno গাড়িটি ক্র্যাশ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সংস্থার মুখ কালি করে একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছিল এটি। সেসময় গাড়িটিতে উপস্থিত ছিল দুটি এয়ার ব্যাগ। অন্যদিকে ২০১৮-তে Maruti Suzuki Brezza গ্লোবাল এনক্যাপ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের জন্য ৪-স্টার এবং শিশু যাত্রীদের জন্য ২-স্টার রেটিং পেয়ে পাস করেছিল। যদিও ২০২২ এ গাড়িটির দ্বিতীয় প্রজন্ম হাজির করে সংস্থা। এদিকে Maruti Suzuki Grand Vitara-র এখনও পর্যন্ত একবারও ক্র্যাশ টেস্ট করা হয়নি।

মারুতি সুজুকির এই তিন মডেলের ক্র্যাশ টেস্ট রিপোর্ট কেমন আসে, তা দেখার জন্য এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত রয়েছেন অসংখ্য গাড়িপ্রেমী। প্রসঙ্গত, টাটা মোটরস প্রথম সংস্থা যারা গত ডিসেম্বর নিজেদের গাড়ি বিএনক্যাপ-এ ক্র্যাশ টেস্টের জন্য পাঠিয়েছিল। তাদের Harrier ও Safari দুই মডেলই ফাইভ স্টার সেফটিারেটিং নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। আবার Hyundai তাদের Exter ও Tucson SUV ক্র্যাশ টেস্টে পাঠাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।