বিক্রি করা হবেনা কোনো চাইনিজ স্মার্টফোন, সিদ্ধান্ত নিল আহমেদাবাদের দোকানদাররা
লাদাখ সীমান্তে ২০ জন সৈন্য শহীদ হওয়ার পর ভারতে চীন বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সকলেই বর্তমানে চীনের তৈরি জিনিসপত্র বর্জন করা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই ভারতে বহু মানুষ চীনের স্মার্টফোন কেনা বন্ধ করেছেন, পাশাপাশি তারা বহু চীনের স্মার্টফোন নষ্ট করে ফেলেছেন। এই সমস্যার কারণে চীনের প্রচলিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড Xiaomi বিভিন্ন শহরে তাদের ব্যানারের উপরে ‘ মেড ইন ইন্ডিয়া ‘ লোগো বসানো আরম্ভ করেছে। শুধুমাত্র স্মার্টফোনের উপরে নয়, যেসব দোকানে চীনের স্মার্টফোন বিক্রি করা হয় তাদের উপরেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ভারতের বেশ কিছু শহরের দোকানদাররা দোকান ভেঙে দেওয়ার হুমকি পেয়েছেন। এই কারণে বেশ কিছু দোকানদার বর্তমানে চীনের স্মার্টফোন বিক্রি করা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
এরকমই একটি ঘটনা ঘটলো গুজরাটের আহমেদাবাদে শহরে। এই শহরের বেশ কয়েকজন দোকানদার চীনের স্মার্টফোন বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিচ্ছেন। শুধু স্মার্টফোন নয় চীনের বিভিন্ন গ্যাজেট এবং আরো অন্যান্য জিনিস তারা তাদের দোকান থেকে তুলে দিচ্ছেন। তারা ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে তারা ভালো কোয়ালিটির স্মার্টফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেট তৈরি করে। এরকম জিনিসপত্র তৈরি করা গেলে, চীনের স্মার্টফোনসহ সমস্ত ডিভাইসের বিকল্প পাওয়া যাবে।
মার্টিমান্ট কমপ্লেক্স হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ৫০টিরও বেশি স্মার্টফোনের দোকান রয়েছে। এই দোকানগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ টাকার স্মার্টফোন এবং গ্যাজেট বিক্রি হয়। বর্তমানে এই কমপ্লেক্স থেকে চীনের গ্যাজেট বিক্রি করা বন্ধ করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একজন দোকানদার জানিয়েছেন,” আমরা সকলে মিলে চীনের দ্রব্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সকল দোকান থেকে চীনের স্মার্টফোন কোম্পানির সমস্ত ব্যানার তুলে নেওয়া হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমরা, মজুত করে রাখা চীনের স্মার্টফোন বিক্রি করে ফেলব। এরপর থেকে আমরা শুধুমাত্র ভারতীয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক্স জিনিস বিক্রি করব। চীনের তৈরি দ্রব্য এই কমপ্লেক্সে আর বিক্রি করা হবে না।”
শুধুমাত্র একজন দোকানদার নয়, এনার সাথে আরো অনেকেই চীনের স্মার্টফোন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারত সরকারও চীনের তৈরি জিনিস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ্লিকেশন বয়কট করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে Tiktok, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ারইট, উইচ্যাট-র মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন। এছাড়াও ভারতের সরকারি টেলিকম সংস্থাBSNL এবং MTNL-র ৪জি এক্সপ্যানশনের ক্ষেত্রে চীনের সংস্থা হুয়াওয়ে এবং জেডটিই-কে বয়কট করা হয়েছে।