দেশে এখন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার বৈদ্যুতিক গাড়ি চলছে, কেন্দ্রের FAME-II প্রকল্পকে কৃতিত্ব মন্ত্রীর

বর্তমানে ভারতবর্ষের সড়কে ৮.৭৭ লক্ষের অধিক ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল চলাচল করে, সম্প্রতি এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শক্তি এবং ভারী শিল্প মন্ত্রী কৃষাণ পাল গুর্জর (Krishan Pal Gurjar)। আগামীতে এই সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী কেন্দ্র। কারণ পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পকে জনপ্রিয় করে তুলতে অতি তৎপর সরকার। আর তাই দেশের মানুষ যাতে কম দামে বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনতে পারেন এবং প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও যাতে এ দেশে তাদের পণ্যের উৎপাদনে অনুৎসাহিত না হয়, সেজন্য কেন্দ্র যথাক্রমে ফেম-২ (FAME-II) ও পিএলআই (PLI) প্রকল্প দুটি নিয়ে এসেছে। আসুন এই প্রকল্প দুটির থেকে সাধারণ মানুষ কী সুবিধা পাবেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমে আসি ফেম-২ (FAME-II) প্রকল্পের কথায়। দেশের যে কোনো নাগরিক ব্যাটারির ক্ষমতা অনুযায়ী দুই, তিন বা চার চাকার কোনো বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলে এই প্রকল্পের আওতায় মেলে সরকারি ভর্তুকি। এক কথায় বলতে গেলে এক্স-শোরুম প্রাইসের উপর এই ভর্তুকি যোগ হয়ে গাড়ির দাম কমে আসে। আবার এতে উৎপাদন ব্যয় কমে আসায় ক্রেতাদের পাশাপাশি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও লাভবান হয়। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় কিলোওয়াট পিছু ১৫,০০০ টাকার আর্থিক সুবিধা দেয় কেন্দ্র।

অন্যদিকে কেবলমাত্র গাড়ি সংস্থাগুলির নির্মাণ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র চালু করেছে ‘উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প’ (Production Linked Incentive বা PLI)। অত্যাধুনিক রাসায়নিক সেল (Cell), ব্যাটারি স্টোরেজ নির্মাণের সংস্থাগুলি এই প্রকল্পের আওতাধীন। বর্তমানে মোট ৫০ গিগাওয়াট আওয়ার (50 GigaWatt Hour বা GWH) প্রস্তুতির ক্ষমতা রয়েছে, যে জন্য পাঁচ বছরে সরকারের খরচের পরিমাণ ১৮,১০০ কোটি টাকা।

এছাড়াও অটোমোবাইল এবং এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরীর সংস্থাগুলিকে সম্প্রতি এই পিএলআই প্রকল্পের আওতাধীন করা হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটির জন্য সরকার বাজেটে ২৫,৯৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।