দেশের বৃহত্তম EV শোরুমের যাত্রা শুরু, পেয়ে যাবেন 150 কিমি মাইলেজের ইলেকট্রিক স্কুটার

দেশের অন্যতম প্রগতিশীল মবিলিটি সংস্থা EVeium Smart Mobility এবার নিজেদের আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার কাজে অগ্রসর হল। সম্প্রতি কেরালার কালিকটে চালু হলো তাদের একটি নতুন এক্সপেরিয়েন্স হাব। এই সংস্থার তৈরি প্রত্যেকটি মডেল এবং তাতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সম্পর্কে বিশদে তথ্য মিলবে এই এক্সপেরিয়েন্স হাব থেকে। যদিও Hexa Motors-র নামের ছত্রছায়ায় কাজ করবে এই নতুন শোরুমটি।

কেরলের অন্যতম জনবহুল শহর আথানিক্কাল এর কন্নুর রোডে অবস্থিত এই নতুন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারটির আয়তন ৩০০০ বর্গফুট। সংস্থার দাবি যে গোটা দেশের মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক ভেহিকেল শোরুম। আথানিক্কাল অঞ্চলটি বিভিন্ন ধরনের অটোমোবাইল কোম্পানির ( দুই চাকা এবং চারচাকা উভয়ই) বাসস্থান বলা চলে। তাই এমন জায়গায় অবস্থিত হওয়ার ফলে খানিকটা বাড়তি সুবিধা পাবে এই নতুন শোরুম।

ইতিমধ্যেই সংস্থার বিভিন্ন মডেলের উপর বেশ কিছু বুকিং নথিভুক্ত হয়েছে তাদের ঝুলিতে। এরমধ্যে বেশকিছু বুকিং জমা পড়েছে শোরুমটি চালু হওয়ার আগেই। তাই এর উদ্বোধনের দিনই সেগুলির ডেলিভারি দিয়েছে তারা। এই এক্সপেরিয়েন্স হাব এর মধ্যে রয়েছে একটি বড় টিভি স্ক্রিন যেখানে EVeium এর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি ব্যাটারী চালিত যানবাহনের সম্পর্কেও নানা ধরনের তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে। উপরন্তু এই কেন্দ্র থেকে গ্রাহকরা তাদের তিনটি মডেলের টেস্ট রাইড সম্পন্ন করতে পারবেন।

বর্তমানে Hexa Motors এর নামের আড়ালে তৈরি হওয়া EVeium এর এই শোরুমে দেখা মিলবে তাদের তৈরি তিনটি ইলেকট্রিক স্কুটারের। এর মধ্যে কম রেঞ্জ যুক্ত মডেলটি হলো Cosmo। এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬৫ কিমি/ঘণ্টা। একবার সম্পূর্ণ চার্জে স্কুটারটি ৮০ কিমি পর্যন্ত ছুটতে সক্ষম। এই স্কুটারটি কিনতে খরচ হবে ১,৩৯,২০০ টাকা।

এর ঠিক পরেই রয়েছে Comet মডেলটি যা এক চার্জে প্রায় ১৫০ কিমি পথ চলতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ৮৫ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করতে সক্ষম। Comet মডেলটির দাম পড়বে ১,৮৪,৯০০ টাকা। সংস্থার টপ মডেল Czar কিনতে খরচ হবে ২,০৭,৭০০ টাকা। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৫ কিমি/ঘণ্টা। সম্পূর্ণ চার্জে পরিপুষ্ট অবস্থায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিমি পর্যন্ত চলতে পারে এটি। এই সবকটি মূল্য আদতে এক্স শোরুম প্রাইস।

নতুন এই শোরুমের উদ্বোধন প্রসঙ্গে হেক্সা মোটরের প্রতিষ্ঠাতা Rayis RM জানান, “ভারতের ব্যাটারি চালিত যানবাহনের বাজারে দেশীয় সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন বৈদেশিক সংস্থাও তাদের তৈরি প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হলেও উন্নত মানের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত খানিকটা ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে। গ্রাহকদের বিশ্বমানের প্রিমিয়াম এবং উন্নত প্রোডাক্ট দেওয়ার লক্ষ্যেই খুঁজে পেয়েছি EVeium মোটরসকে। অ্যাডভান্সড প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম রেঞ্জের প্রোডাক্ট রয়েছে এই সংস্থার হাতে। এমন একটি সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পেরে আমরা গর্বিত”।