IRCTC Data Monetisation: পিছু হটলো রেল, ডেটা মনিটাইজেশন প্ল্যান থেকে সরে আসতে পারবে যাত্রীরা

‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন’ বা IRCTC খুব শীঘ্রই ইউজারদের ডেটা বিক্রি করে ১,০০০ কোটি টাকা মুনাফা আদায়ের কথা ভাবছে বলে কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল। যদিও বিশেষজ্ঞরা এরপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কেন না এরফলে যাত্রীদের ডেটা বেহাত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছিল। যারপর আজ কিছুটা পিছু হটে IRCTC জানিয়েছে, তারা যাত্রীদের ডিজিটাল ডেটা মনিটাইজেশন প্ল্যানে অংশগ্রহণ না করার বিকল্প অফার করবে।

IRCTC-এর ডেটা মনিটাইজেশন প্ল্যান থেকে সরে আসার বিকল্প পাবেন যাত্রীরা

আজ্ঞে হ্যাঁ! দ্য ইকোনমিক টাইমস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, যাত্রীরা না চাইলে তাদের ডেটা মনিটাইজ করবে না আরআরসিটিসি। আপনাদের অবগতের জন্য জানিয়ে রাখি যে, ভারতে কোনো স্বতন্ত্র ডেটা প্রাইভেসি আইন নেই। ২০১৯ সালে উপস্থাপিত ডেটা প্রাইভেসি বিলকে সংসদের জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে আয়োজিত বর্ষা অধিবেশনে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এই বিলকে পুনরায় চালু করা হবে।

যাইহোক পুনরায় প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। ডেটা মনিটাইজেশনের সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখা থেকে শুরু করে, তা চিহ্নিতকরণ, ডিজাইন নির্ধারণ ও অন্যান্য একাধিক বিষয়ে সহায়তার জন্য IRCTC একটি পরামর্শদায়ক প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করার কথা ভাবছে বলে সম্প্রতি ডাকা টেন্ডারে সাফ জানিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, ‘আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ (EY) এবং ‘ক্লিনভেল্ড পিট মারউইক গার্ডেলার’ (KPMG) কনসালটেন্সি ফার্ম দুটি ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেল বিভাগের টিকিট বিক্রয়কারী শাখাটির পরামর্শক হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। যদিও EY বা KPMG কোনো কোম্পানির তরফ থেকেই এই প্রসঙ্গে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দ্য ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, “ডেটা মনিটাইজেশন প্ল্যানের জন্য একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে এখনো অনেক সময় বাকি।” তাসত্ত্বেও আগাম এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত করার কারণ হল, মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি রেলের পরিষেবা উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এমন সংস্থাগুলিকে খুঁজে বের করা। প্রসঙ্গত উক্ত ডেটা মনিটাইজেশন প্ল্যানের অংশ হিসাবে, ‘টার্গেটেড অডিয়েন্স’ -এর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ‘ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড’ ওরফে BSNL -কেও ভবিষ্যতে সংযুক্ত করা হতে পারে বলেও আরো জানা গেছে।

যাইহোক আলোচ্য প্ল্যানের কার্যকারিতা আরো স্পষ্ট ভাবে বোঝাতে গিয়ে আরেকজন আধিকারিক আবার বলেছেন যে, ‘ডিজিটাল অ্যাসেটস’ মনিটাইজিং করার ক্ষেত্রে যাত্রীর নাম, আধার নম্বর, ঠিকানা বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ সংরক্ষণ বা অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের সংখ্যা কত হতে পারে, মোট যাত্রীদের মধ্যে কতজন ক্যাটারিং পরিষেবার বিকল্প বেছে নিচ্ছেন ইত্যাদি তথ্য সামিল করা হবে। ফলে, প্রাইভেসি বা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন তিনি।

রেল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,”এই প্ল্যান হল একটি ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ (EoI), কোনো টেন্ডার নয়। ফলে বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। যেখানে IRCTC, নিজে বা ভারতীয় রেলওয়ে তাদের ডিজিটাল অ্যাসেটকে মনিটাইজ করার জন্য কিরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেই সংক্রান্ত পরামর্শ চেয়েছে সম্ভাব্য পরামর্শদায়ক সংস্থাগুলির কাছ থেকে।”

প্রসঙ্গত, কোনো বিষয়ে একটি টেন্ডার রিলিজ করার আগে তা ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ (EoI) পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। এই পর্যায়ে সংস্থাগুলি, যে পরিষেবা বা পণ্য আনতে চায় তার জন্য কোনো সরবরাহকারী উপলব্ধ আছে কিনা তা মূল্যায়ন করে পারে এবং একই সাথে সরবরাহকারীদের প্রতিক্রিয়া অনুসারে সম্ভাব্য টেন্ডারও সংশোধন করার বিকল্প পায়৷