অন্য ব্র্যান্ডের বদলে KTM এর বাইক কিনে সবাইকে চমকে দেবেন ভাবছেন? মাথায় রাখুন এই ৫টি বিষয়

এই দামে এমন পারফরম্যান্স কেউ দিতে পারবে না। KTM এর প্রসঙ্গে উঠলেই এর পাশাপাশি চোখের সামনে ভেসে ওঠে কমলা রংয়ের রেসিং বাইক এবং তার ইঞ্জিনের ডুগডুগ আওয়াজ। ২০১২ সালে ভারতে আত্মপ্রকাশ করে অস্ট্রিয়ার এই টু-হুইলার নির্মাতা। প্রিমিয়াম ফিচার্স এবং দুর্ধর্ষ পাওয়ার ও হাই-কোয়ালিটির ইকুইপমেন্টের উপর নির্ভর করে বাজারে আলাদা পরিচিতি তৈরি করে নিয়েছে সংস্থাটি। আপামর ভারতবাসী বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যথেষ্ট সুখ্যাতি কুড়িয়েছে তাদের প্রতিটি বাইক।

যদিও বিগত বছরগুলিতে কয়েকগুণ দাম বেড়েছে কেটিএম সংস্থার বাইকগুলির। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অনেক ক্ষেত্রেই হাতের নাগালের বাইরে তা চলে গিয়েছে। এমতাবস্থায় দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে ঢুঁ মারলেই মিলতে পারে কয়েক বছরের পুরনো কেটিএম মডেল। তবে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড কেটিএম মোটরসাইকেল কেনার আগে অবশ্যই নীচের পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

পুরনো হলে দাম কমে যায়

কেটিএম এর বাইকগুলি দাম খুব দ্রুত হারে নিম্নমুখী হয়। তাই আপনার পছন্দের দামি কোনো একটি মডেল সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে অনেকটাই কম দামে পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ পাঁচ বছরের পুরনো KTM 200 Duke বাইকটি বর্তমানে ৭০,০০০-৮০,০০০ এর মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই পুরনো মডেল কেনার আগে তার সার্ভিসের বৃত্তান্ত এবং সব দিকটা ভালো করে যাচাই করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সহজলভ্য পার্টস

বছরের পর বছর ধরে কেটিএম এর বাইকগুলির যন্ত্রাংশে খুব একটা পরিবর্তন করা হয় না বলেই সহজেই এর পার্টস পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন KTM RC 200 এর ক্ষেত্রে ২০১৪ থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত সবকটি মডেলই প্রায় একই ধরনের। তাই নির্মাতার নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার কিংবা সাধারণ গ্যারেজেই মিলবে এর বেশিরভাগ পার্টস।

উচ্চ পারফরম্যান্স ও স্বল্প স্থায়ী যন্ত্রাংশ

কেটিএম ব্র্যান্ডের তৈরি প্রত্যেকটি বাইকের গঠনশৈলী ও ব্যবহৃত পার্টসগুলি এতটাই উন্নতমানের যে তা উচ্চ পারফরমেন্স প্রধান প্রদান করতে সক্ষম। যদিও তাদের সবচেয়ে সমস্যা বিষয়টি হলো সেগুলি সময়ের সাথে সাথে বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অত্যাধিক অযত্নের সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে অল্প দিনের মধ্যেই ইঞ্জিনের হেড কিংবা পিস্টন রিং সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তা সারানো বেশ খরচা সাপেক্ষ। তাই অবশ্যই যত্নের সহিত চালানো এবং নিয়মিত দক্ষ কারিগর দ্বারা এর সমস্ত অংশ চেক করিয়ে নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ।

সাসপেনশনের সমস্যা

একথা সত্য যে কেটিএম এর বাইকগুলিতে উন্নত মানের হার্ডওয়ার যেমন WP এর ৪৩ মিমি ইউএসবি এবং Bybre ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, তবে খারাপ ভাবে চালানোর জন্য রাস্তার গর্তে পড়লে সহজেই নষ্ট হতে পারে এগুলি। যার ফলস্বরূপ সাসপেনশনের অয়েল সিল কেটে গিয়ে তেল লিক করার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবসময় ইউএসডি ফর্কের অয়েল সিলের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

সুরক্ষার অগ্রাধিকার

KTM 200 Duke এবং RC 200 এর মতো কম ক্ষমতা সম্পন্ন বাইকগুলির পূর্ববর্তী সংস্করণগুলিতে এবিএস এর মত সেফটি ফিচার্স অনুপস্থিত। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের পর থেকে 125 Duke, 200 Duke এবং RC 200 মডেলগুলিতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস দেওয়া হয়েছে। তাই অবশ্যই নিজের সুরক্ষার্থে ২০১৯ সালের পরবর্তী সংস্করণের এবিএস যুক্ত মডেল নেওয়াই যুক্তিযুক্ত।