Google, Microsoft এর চিন্তা বাড়াতে এবার ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ChatGPT আনছে মোদী সরকার

ChatGPT প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। সম্প্রতি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এবার দেশের নিজস্ব চ্যাটবট থাকবে।

বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের জন্য ‘নিউ নর্ম্যাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে ChatGPT। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তিগত খবরে বারবার এই AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলটিকে নিয়ে চর্চা করা হচ্ছে। এমনকি এর জনপ্রিয়তা এতই বেড়েছে যে, সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন সংস্থা ChatGPT ভিত্তিক চ্যাটবটকে বিভিন্ন কাজে লাগাচ্ছেন; Google, Microsoft-এর মত বড় টেক কোম্পানিগুলি তো আবার নিজের মত করে এই প্রযুক্তিকে বিকাশ করার চেষ্টা করছে। তবে এবার মোদী সরকার এই বিষয়ে যে ঘোষণা করেছে, তা থেকে মনে হচ্ছে দেশ প্রযুক্তির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে, আর সরকারের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (Made in India) কর্মসূচীটি আরও শক্তিশালী বলে প্রমাণিত হবে! আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব হালফিলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আসন্ন দিনগুলিতে ভারতের নিজস্ব ChatGPT সংস্করণ বা সোজা কথায় সম্পূর্ণ দেশীয় AI চ্যাটবট থাকবে। শুধু তাই নয়, তাঁর ঘোষণার ভিত্তিতে অনুমান করা যায়, খুব শীঘ্রই এই প্রযুক্তিটি চালু হতে পারে।

গ্লোবাল ফোরামের সম্মেলনে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চ্যাটবটের কথা বলেছেন মন্ত্রী

ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি যে, ওপেনএআই (OpenAI)-এর চ্যাটজিপিটির সাথে পাল্লা দিতে মাঠে নেমেছে গুগল, স্ন্যাপচ্যাট (Snapchat)-এর মত সংস্থা; মাইক্রোসফ্টও এই নিয়ে কাজ করছে। তবে শুধু বড় বড় কোম্পানি নয়, অনেক দেশীয় কোম্পানি বা স্টার্টআপও এই বিষয়ে আগ্রহী হয়েছে। তারা রীতিমত চ্যাটজিপিটি নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি জেনারেটিভ এআইয়ে বিনিয়োগও করছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ অর্থাৎ আগামী ৭ বছরে গ্লোবাল চ্যাটবট মার্কেটের ভ্যালু দাঁড়াবে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার! হ্যাঁ অঙ্কটা ঠিকই পড়েছেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী বৈষ্ণব, ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করে দেশীয় চ্যাটজিপিটির কথা ঘোষণা করেছেন।

কতটা আলাদা হবে ভারতীয় ChatGPT?

এমনিতে চ্যাটবট রিয়েলটাইমে মানুষের সাথে মানুষের মত করে কথা বলা বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি কোন সমস্যা সমাধান করা, কমান্ড অনুযায়ী রচনা লেখা, কোডিং ইত্যাদি কাজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন মেড ইন ইন্ডিয়া চ্যাটবট, ইউজারদের নির্ভরযোগ্য এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আউটসোর্স করবে। আবার, এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে হচ্ছে।

দেশী চ্যাটবট বিকাশের জন্য স্টার্টআপগুলির সাথে কাজ করবে সরকার?

দেশী চ্যাটবট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বৈষ্ণব, ভারতে ক্রমবর্ধন স্টার্টআপ কমিউনিটিকে নিয়েও কথা বলেছেন। এই ছোট ছোট সংস্থাগুলির প্রশংসা করে তিনি বলেছেন যে, সরকার এদের সাহায্য এবং প্রচার করবে। তাছাড়া শোনা যাচ্ছে যে, এই স্টার্টআপগুলির সাথে কাজও করবে কেন্দ্র – সম্ভবত দেশী চ্যাটবট বিকাশের জন্যও।