মহিলা কে ট্রাক ড্রাইভারের চালাকি ধরিয়ে দিল Apple AirTag, জেনে নিন পুরো ঘটনা

বাড়ি পরিবর্তনের সময় এক স্থান থেকে অন্যত্র জিনিসপত্র সরানোর জন্য আমরা অনেক সময় উক্ত কাজে অভিজ্ঞ সংস্থার (Packers & Movers) দ্বারস্থ হয়ে থাকি। বিদেশে বসবাসকারী মানুষের কাছে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সুবিধার পাশাপাশি প্যাকার ও মুভার সংস্থার সাহায্য গ্রহণে বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কারণ এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় উক্ত জাতীয় সংস্থার অসাধু আচরণের ফলে জিনিসপত্রের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। যদিও Apple AirTag ব্যবহার করে এবার আমেরিকার একটি পরিবার আসবাবপত্র স্থানান্তরকারী সংস্থার মিথ্যাচারকে ধরে ফেলতে সমর্থ হয়েছে।

আজ্ঞে হ্যাঁ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভ্যালেরি ম্যাকনালটি সম্প্রতি তাদের আবাস বদলের সময় একটি জিনিসপত্র স্থানান্তরকারী সংস্থার দ্বারস্থ হন। এক্ষেত্রে সংস্থাটি আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে কলোরাডো শহরে তাদের সমস্ত আসবাব সরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হয়। তবে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনক্ষণে সমস্ত জিনিস পৌঁছে দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধে। সংস্থার ট্রাকচালক ভ্যালেরিকে ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলতে থাকে। অবশ্য অ্যাপল এয়ারট্যাগ ব্যবহার ভ্যালেরি খুব সহজেই সেই মিথ্যাচারকে ধরে ফেলেন। ফলে শেষ পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি তড়িঘড়ি সমস্ত আসবাব পৌঁছে দিতে বাধ্য হয়।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, স্থানান্তরকারী সংস্থার ট্রাকে জিনিসপত্র বোঝাইয়ের পরে মার্কিন সেনা সদস্যের স্ত্রী ভ্যালেরি অত্যন্ত বুদ্ধিমতীর মতো একটি কাজ করেন। ট্রাকটি নতুন শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার পূর্বেই তিনি জিনিসপত্রের মধ্যে একটি AirTag গোপন রাখেন। দূর থেকে সর্বদা আসবাবপত্রের অবস্থান নজরে রাখতেই তিনি একাজ করেন। অস্বীকার করার উপায় নেই যে তার এই উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল। কিভাবে? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্যালেরি নিজেই তার বর্ণনা দিয়েছেন।

ভ্যালেরি জানান আসবাবপত্র নতুন শহরে রওনা দেওয়ার পর ট্রাকচালক তাদের ফোন করে বলে যে নির্ধারিত দিনক্ষণে জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। এর কারণ হিসেবে সে তার অবস্থানগত দূরত্বের কথা তুলে ধরে। চালকের বক্তব্য ছিলো যে তৎকালীন অবস্থান থেকে কলোরাডো শহরে পৌঁছতে তার আরো চারদিন সময় লাগবে। অথচ জিনিসপত্রের মধ্যে লুকিয়ে রাখা এয়ারট্যাগ থেকে প্রাপ্ত অবস্থানগত তথ্য ভ্যালেরিকে জানিয়ে দেয় যে চালক মিথ্যে কথা বলছে। ভ্যালেরি দেখতে পান, চারদিন নয়, বরং সেসময় চালক তাদের নতুন আবাস থেকে মাত্র চার ঘন্টার দূরত্বে রয়েছে। এভাবেই Apple AirTag -এর জন্য চালকের অতিরিক্ত চালাকি মাঠে মারা পড়ে!

আসলে AirTag -এর অস্তিত্ব সম্পর্কে অনবগত চালক ট্রাকবোঝাই জিনিসপত্র নিয়ে রওনা দেওয়ার পরে ফোনে ভ্যালেরিকে জানায় যে আগামী তিনদিনের মধ্যে ট্রাক নিয়ে কলোরাডো শহরে পৌঁছে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হবেনা। কারণ প্রথমে তাকে নিউ জার্সিতে তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে হবে। কিন্তু কোনভাবে তাকে ট্র্যাক করা হয়েছে বুঝতে পারায় সে আচরণ শুধরে নেয় এবং সে পরের দিন সমস্ত আসবাব নিয়ে হাজির হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।