Bajaj ভারতে দাপট বাড়াচ্ছে, Pulsar, Platina সহ বিভিন্ন বাইকের চাহিদা 42 শতাংশ বাড়ল

প্রতি মাসের শেষেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার কাজে নিযুক্ত সংস্থাগুলি তাদের পূর্ববর্তী মাসের ব্যবসার হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা করে থাকে। মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলিও এই নীতি অনুসরণ করে চলে। আমাদের দেশের জনপ্রিয় টু হুইলার ও থ্রি হুইলার নির্মাণকারী সংস্থা বাজাজ অটো (Bajaj Auto) সম্প্রতি তার চলতি বছরের মার্চ মাসের সামগ্রিক বিক্রির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে মোট ২.৯ লাখ দুই চাকা ও তিন চাকার গাড়ি বিক্রি করতে পেরেছে তারা। ২০২২ সালের মার্চ মাসের তুলনায় তাদের বিক্রি কমেছে ২ শতাংশ।

ভারতীয় সংস্থা হিসেবে বাজাজ অটো বর্তমানে বাংলাদেশ, নেপাল, ইরাক সহ লাতিন আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি করে থাকে। চলতি বছরের মার্চে বিদেশে পাড়ি দেওয়া দুই চাকার সংখ্যা কমেছে লক্ষণীয়ভাবে। গত মাসে ১.১ লাখ বাইক এবং স্কুটার রপ্তানি করা হয়েছে। যা গত বছরের মার্চের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কম।

যদিও বিক্রির নিরিখে ভারতের বাজারে সংস্থাটির বিক্রিবাটা বেশ সন্তোষজনক। ভারতে গত মাসে তাদের টু-হুইলার ও থ্রি-হুইলারের ১.৯ লক্ষ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে দেশীয় বাজারে সংস্থার বিক্রিতে জোয়ার এসেছে ৪৭%। এমনকি দুই চাকার চাহিদা ২০২২ এর মার্চের তুলনায় গত মাসে ৪২% বেড়েছে। গত মাসে মোট ১.৫ লক্ষ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বাজারের বাইকের চাবি।

এর পাশাপাশি বাণিজ্যাক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত গাড়িগুলির বিক্রিও ৭৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৪,২৩৫ ইউনিট। ভারতীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রতিটি অর্থবর্ষ এপ্রিল থেকে শুরু করে মার্চ মাসে গিয়ে শেষ হয়। গত ৩১শে মার্চ শেষ হওয়া বিগত অর্থবর্ষে বাজাজ অটো মোট ৩৯ লক্ষ মিলিয়ন টু হুইলার ও থ্রি হুইলার মডেল বিক্রি করতে পেরেছে যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ৯% কম।

এক্ষেত্রেও ভারতীয়দের কাছ থেকে পর্যাপ্ত ভালবাসা পেয়েছে এই সংস্থা। কারণ বিগত অর্থবর্ষে শুধুমাত্র ভারতের বাজারেই তাদের ২১ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এই সংখ্যাটি কিন্তু তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১৭% বেশি। যদিও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে এই ভারতীয় সংস্থা। গোটা এই একটি বছরে বিদেশের মাটিতে মোট ১৮ লক্ষ দুই চাকা ও তিন চাকা গাড়ি রপ্তানি পারলেও তা পূর্বের অর্থবছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম।