ভারতে আসা চিতার গলায় লাগানো আছে স্যাটেলাইট কলার ID, কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর জন্মদিনে গতকাল নামিবিয়া থেকে ভারতে আটটি চিতা (Cheetah) এনেছে। মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের কুনো ন্যাশনাল পার্কে তাদেরকে ছাড়া হয়েছে। এরফলে প্রায় ৭০ বছর পর চিতাকে দেশে ফিরেয়ে আনা হল। জানিয়ে রাখি, বিশ্বব্যাপী চিতার সংখ্যা কমে যাওয়ায়, এদের কে বিপন্ন জীবের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তাই এই চিতাগুলির উপর নজর রাখতে স্যাটেলাইট কলার আইডির (Satellite Caller ID) সাহায্য নেওয়া হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রযুক্তিটি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে।

চিতাগুলি ভারতে নিয়ে এসে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া যথেষ্ট নয় এবং তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করাও দরকার। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ঘন জঙ্গলের মধ্যে অনেক চিতার উপর নজর রাখা কঠিন। তবে গলায় স্যাটেলাইট কলার আইডির সাহায্যে তাদের কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য রেকর্ড করা সহজ হবে এবং এই প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কিভাবে অ্যানিমাল মাইগ্রেশন ট্র্যাকিং (Animal Migration Tracking) কাজ করে?

এই ট্র্যাকিং ব্যবহার করা হয় বনে কোন জীব কী ধরনের কার্যকলাপ করে, কতটা সক্রিয়, কোন সময়ে বেশি সক্রিয় এবং তার বর্তমান অবস্থা কী তা জানার জন্য। তবে এরজন্য প্রানীদের কোনো সমস্যা হয়না, তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারে। উল্লেখ্য, ট্র্যাকিংয়ের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি (যেমন, মোশন-সেন্সিং ক্যামেরা ইনস্টল করা বা ড্রোন ব্যবহার করা) আরও বেশি খরচ সাপেক্ষ এবং সবসময় কার্যকর হয় না।

স্যাটেলাইট কলার আইডি কীভাবে কাজ করে

চিতাদের গলায় পরানো স্যাটেলাইট কলার আইডিতে স্মার্টফোন বা অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের মতো জিপিএস চিপ থাকে। এই চিপের সাহায্যে স্যাটেলাইট প্রাণীদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে তথ্য পাঠাতে পারে। কলার আইডি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে পশুর গতিবিধিতে এটি কোনোভাবেই প্রভাব না ফেলে। স্যাটেলাইট সহজেই এই GPS ট্যাগ দ্বারা প্রেরিত ইলেকট্রনিক সংকেত সনাক্ত করতে পারে।