মোদী সরকারের নয়া নিয়ম, ১লা মার্চ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আসছে এই বদল

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি যে জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে, সে কথা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য। আবালবৃদ্ধবণিতা এখন নেটপাড়ার বাসিন্দা, যেখানে গোটা দুনিয়ার হালহকিকত থাকে আঙুলের ডগায়। কিন্তু সময় যত যাচ্ছে, ততই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতাগুলি ভরে যাচ্ছে যথেচ্ছাচারে। অন্যদিকে Facebook, Twitter-এর মত সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিও ইউজারদের ওপর নিজেদের নানাবিধ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভারত সরকার এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে স্বেচ্ছাচারিতা রুখতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে তিনটি গ্রিভেন্স অ্যাপিলেট কমিটি বা GAC (পড়ুন অভিযোগ দায়েরের কমিটি) গঠনের ঘোষণা করেছে, যা আগামী ১লা মার্চ থেকে কাজ শুরু করবে। এই কমিটির দায়িত্ব হবে একমাস মানে ৩০ দিন সময়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করা।

সরকার তৈরি করছে আলাদা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম

সোশ্যাল মিডিয়ার বেলাগাম স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছে; নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপও। তবে নতুন বছরে এই ভাবনার আরও কিছু বাস্তব রূপায়ণ হতে চলেছে। কেন্দ্রের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ইউজারদের যা অভিযোগ থাকবে, তার যথা শীঘ্র নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির জন্য এমন পরিস্থিতি দরকার, যাতে তারা ইউজারদের অভিযোগ উপেক্ষা করতে পারবেনা। আর তাই, এর জন্য সরকার একটি ভার্চুয়াল বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার ঘোষণা করেছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্ল্যাটফর্মটিই আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে, অন্যদিকে ইউজাররা তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে তা অনলাইনে ট্র্যাক করতে সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে শুধু অভিযোগ জানানোই নয়, সরকারের নতুন সিস্টেমে কোনো অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল বা আবেদন করার বিকল্পও দেওয়া হবে। তবে অভিযোগের দরুন কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা (পোস্ট রিমুভ করা বা আরও অন্যান্য সমীচীন ব্যবস্থা) নেওয়া হবে।

সরকারের কমিটি হবে এরকম

শুরুতেই আমরা বলেছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে তিনটি কমিটি গঠন করা হবে। সেক্ষেত্রে এই কমিটির প্রথম অংশে একজন ফুল টাইম চেয়ারপার্সন এবং দুজন ফুল টাইম সদস্য থাকবেন। একইভাবে দ্বিতীয় কমিটিতে থাকবেন জয়েন্ট সেক্রেটারি লেভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং মিনিস্ট্রির অফিসার।

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনাও করছেন অনেকেই! কেউ কেউ বলছেন, এসব করে সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার (তথা নাগরিকদের) ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। যদিও সরকারের দাবি, তারা সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের একটি দায়িত্বসম্পন্ন সিস্টেমের মধ্যে রাখতে চায়।