Bike Tips: কিছুতেই বাইকের মাইলেজ বাড়ছে না? এই ভুলগুলো আজই না শোধরালে বিপদ

পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি হাকিয়েছে দেশের বড় বড় শহরে। জ্বালানির আগুনে দাম সরাসরি গিয়ে প্রভাব ফেলেছে সাধারণ মধ্যবিত্তের জীবনে। আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে মোটরসাইকেলের উপর নির্ভর করে থাকে। পেট্রোলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কবলে জর্জরিত তাই বেশিরভাগ ভারতীয়। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩৫ কিমি যাত্রা করতে হয় এই দুই চাকার উপর নির্ভর করে তাদের অবস্থা কিন্তু বেশ শোচনীয়। এক্ষেত্রে খানিকটা পরিত্রাণ দিতে পারে উন্নত মাইলেজ। প্রতি লিটার পেট্রোলে যদি পাঁচ কিমি পর্যন্ত বেশি রাস্তা চালানো যায় তাতেই বা কম কিসের!! বাইকের মাইলেজ সঠিক পেতে তাই রইল সহজ কিছু টিপস।

কার্বুরেটর টিউনিং

বিএস-সিক্স (BS6) কার্বন নির্গমন নীতির আগে পর্যন্ত মোটরসাইকেলের মধ্যে ব্যবহার হতো কার্বুরেটর সিস্টেম। আজও গোটা দেশের বেশিরভাগ বাইক কিংবা স্কুটারে এই কার্বোরেটর বর্তমান। এর মধ্যে পেট্রোলের সঙ্গে বাতাসের মিশ্রণ ঘটানো হয়। এই মিশ্রণের অনুপাত কিন্তু দক্ষ মেকানিক দ্বারা এডজাস্ট করা প্রয়োজন। কার্বুরেটরের টিউনিং সঠিক থাকলে অবশ্যই মাইলেজ হবে উন্নত।

যদিও আজকালকার দিনের বিএস-6 মডেলগুলিতে কার্বুরেটরের পরিবর্তে লাগানো থাকে ইসিইউ (ECU), যা সম্পূর্ণভাবেই বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এমন মডেলে আচমকা মাইলেজ কমে গেলে অবশ্যই অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন। সে ক্ষেত্রে ইসিইউ আপডেট করতে হতে পারে।

অহেতুক ইঞ্জিন চালু না রাখা

শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিটি মোড়ে লাগানো থাকে সিগনালিং সিস্টেম। এমন পরিস্থিতিতে সিগন্যালে ২০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াতে হলে অবশ্যই ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এই বিষয়টি অনেকেরই নজর এড়িয়ে গেলেও ট্রাফিক সিগনালে অহেতুক ইঞ্জিন চালু রাখলে স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানি খরচ হবে বেশি। আজকালকার দিনের অত্যাধুনিক মোটরসাইকেলে ইঞ্জিন সহজেই বন্ধ করার জন্য একটি সুইচ দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাফিক সিগনালে এর ব্যবহার করুন নিশ্চিন্তে।

টায়ার প্রেসার সঠিক রাখা

মাইলেজ কমবেশির জন্য অন্যতম দায়ী হলো টায়ার প্রেশার। বাইক কিংবা স্কুটারের চাকায় হাওয়ার পরিমান কম থাকলে ইঞ্জিনকে সেই চাকা ঘোরানোর জন্য অনেক বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে অবশ্যই বাইকের ম্যানুয়াল বইতে লেখা টায়ার প্রেশার বজায় রাখার চেষ্টা করুন। সাধারণত বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্পে বাইক কিংবা গাড়ির চাকায় বিনামূল্যে হাওয়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সপ্তাহে অন্তত একবার সেখান থেকে টায়ার প্রেশার পরখ করিয়ে নিন।

বাইক ঠিকমতো সার্ভিসিং করানো

অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা দিনের পর দিন তাদের দুই চাকার বাহনটিকে ব্যবহার করে চলেছেন কিন্তু সার্ভিসিং করার বিষয়ে উদাসীন। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা ভালো পেট্রোল চালিত বাইক কিংবা স্কুটারের মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ। এগুলির কর্মক্ষমতা সঠিক রাখতে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাইকের সার্ভিসিং করানো প্রয়োজন। এছাড়াও সময় মতো ইঞ্জিন অয়েল, ব্রেক অয়েল পরিবর্তন করুন। এর ফলে মাইলেজ যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই পারফরমেন্সে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

অবান্তর মডিফিকেশন এড়িয়ে চলুন

একটি মোটরসাইকেল কিংবা স্কুটার তৈরি করার আগে সেই সংস্থার দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা এর ডিজাইন এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেমন হওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে থাকেন। সাধারণ গ্রাহকরা তাদের এই মোটরসাইকেলকে নিজের পছন্দমত লুক দেওয়ার চেষ্টায় অনেক সময় অবান্তর মডিফিকেশন করে থাকেন। এর ফলে ইঞ্জিনের শক্তির সঙ্গে বাইকের ওজনের অনুপাত চূড়ান্তভাবে বিঘ্নিত হয়। এমনকি বাইকের এয়ারোডায়নামিক সক্ষমতাও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব মিলিয়ে প্রভাব দিয়ে পড়ে বাইকের মাইলেজে।