Voter ID Transfer: বিয়ের পর কীভাবে মহিলারা ভোটার কার্ডের ঠিকানা পাল্টাবেন? নারীদিবসে রইল উত্তর

How to Transfer Voter ID Card after Marriage Online: ভারতীয়দের জন্য ভোটার আইডি কার্ড (Voter ID Card) হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি, যা শুধু পরিচয়পত্র বা নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবেই কাজ করেনা, পাশাপাশি নাগরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং ইচ্ছেমতো ভোট দেওয়ার পথও প্রশস্ত করে। ফলত, ভোটার আইডি কার্ডের ডিটেইলস সবসময় আপ-টু-ডেট রাখা দরকার। বিশেষত, যেহেতু বিয়ের পর একজন মহিলার ঠিকানা পরিবর্তন হয়, তাই তাঁর নিজের ভোটার আইডি কার্ডে নতুন ঠিকানা আপডেট বা ট্রান্সফার করা উচিত। এক্ষেত্রে সুবিধার বিষয় হল যে, এই ইন্টারনেট-কেন্দ্রিক জমানায় বিয়ের পরে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফারে কোনো ঝুট-ঝামেলা নেই। কেননা নির্বাচন কমিশন অফ ইন্ডিয়া, এখন একটি সহজ-সুবিধাজনক অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে এই কাজ সেরে ফেলতে দেয়। কীভাবে? এখন বলব সেই পদ্ধতিই।

বিয়ের পরে Voter ID কার্ড ট্রান্সফার করতে পারেন এভাবে

কোনো মহিলা বিবাহের পরে নতুন ঠিকানায় গেলে, সমস্ত ডিটেইলস আপডেট রাখার জন্য তাঁকে ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফার করতে হবে, তা সেই ঠিকানা বিদ্যমান বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হোক বা বাইরে। আর এর জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নিতে হবে তা হল:

১. ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টাল (NVSP) বা নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।

২. নিজের শংসাপত্র বা ডেটা ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করুন।

৩. স্ক্রিন থেকে ‘শিফ্টিং অফ রেসিডেন্স/কারেকশন অফ এন্ট্রিস ইন এক্সিটিং ইলেক্টোরাল রোল’ (Shifting of residence/ correction of entries in existing electoral roll) ট্যাবে নেভিগেট করুন এবং ‘ফিল ফর্ম ৮’ (Fill Form 8)
অপশনটি নির্বাচন করুন।

৪. এরপর ‘সেল্ফ’ অপশন বেছে নিন এবং নিজের
এপিক (EPIC) নম্বর সাবমিট করুন।

৫. ভোটার ডিটেইলস রিভিউ করুন এবং ঠিকানা ট্রান্সফার তথা ‘শিফ্টিং অফ রেসিডেন্স’ অপশনটিতে আবার ক্লিক করুন।

৬. নির্দিষ্ট অপশনে জেলা, রাজ্য, বিধানসভা বা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা, আধার (Aadhaar) নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল এবং নতুন ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্ম ৮ ফিল-আপ করুন। পরবর্তী ধাপে প্রামাণ্য বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে ডিক্লেয়ারেশন ক্লিয়ার করুন এবং ক্যাপচা কোড লিখুন।

৭. ‘প্রিভিউ অ্যান্ড সাবমিট’ (Preview and Submit) অপশনে যান। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে আবেদন জমা দিন।

এক্ষেত্রে ফর্ম ৮ জমা দেওয়ার পরে রেজিষ্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ বা অ্যাপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বরসহ একটি ইমেইল পাবেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে নিকটবর্তী নির্বাচনী অফিস থেকে নতুন ভোটার আইডি নেওয়া যাবে, চাইলে অফিসিয়াল পোর্টাল থেকে ডিজিটাল ভোটার আইডি ডাউনলোডও করতে পারেন।

Voter ID ট্রান্সফারে যে প্রামাণ্য ডকুমেন্টগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে

  • ইউটিলিটি বিল (জল, গ্যাস বা বিদ্যুৎ),
  • আধার কার্ড,
  • ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের বর্তমান পাসবুক,
  • ভারতীয় পাসপোর্ট,
  • রেভেনিউ ডিপার্টমেন্টের জারি করা জমির রেকর্ড (কিষাণ বহি-সহ),
  • রেজিষ্টার্ড লিজ় বা ভাড়ার দলিল,
  • রেজিষ্টার্ড সেল ডিড (দলিল)।

মনে রাখবেন, প্রুফ হিসেবে এইসব নথির কোনো একটি তো লাগবেই, পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ড ট্রান্সফারের আবেদন করার জন্য ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টালে একটি রেজিষ্টার্ড অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।