২০ বছরপূর্তিতে Honda আনলো Anniversary Edition Activa 6G

দেখতে দেখতে দীর্ঘ ২০ টা বছর পার৷ Honda Motorcycle & Scooter India (HMSI)-র Activa স্কুটার ভারতে তার ২০ তম বছরে পদার্পন করলো৷ প্রথম লঞ্চ হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত Activa স্কুটারের ২.২০ কোটি ইউনিট এদেশে বিক্রী হয়েছে৷ প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি একের পর এক স্কুটার বাজারে আনলেও হোন্ডা অ্যাক্টিভার জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি৷ ফলে বেশ কয়েকবছর ধরেই অ্যাক্টিভার মাথায় দেশের সর্বাধিক বিক্রীত স্কুটারের তকমাও বর্তমান৷

Activa-র সাফল্যের রসায়ন তার মাইলেজ এবং স্বল্প রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে৷ এছাড়া স্কুটার কেনার ক্ষেত্রে Activa-ই যাতে গ্রাহকদের প্রথম পছন্দ হয়, তার জন্য বছরের পর বছর হোন্ডা স্কুটারটির কসমেটিক আপগ্রেডের পাশাপাশি নানা ফিচারও সংযোজন করে আসছে৷

20th Anniversary Edition Activa 6G

গতকাল অ্যাক্টিভার এই ২০ বছরের বর্ষপূর্তি উদযাপন করার জন্য Honda, 20th Anniversary Edition Activa 6G লঞ্চ করে দিয়েছে৷ এই Anniversary Edition Activa 6G, Standard এবং Deluxe এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ হবে৷ Standard ভ্যারিয়েন্টের দাম রাখা হয়েছে ৬৬,৮১৬ টাকা (এক্স-শোরুম,গুরুগ্রাম)৷ অন্যদিকে Deluxe ভ্যারিয়েন্টের দাম ৬৮,৩১৬ টাকা (এক্স-শোরুম,গুরুগ্রাম)৷

অ্যানিভার্সারি এডিশন অ্যাক্টিভা ৬জি স্কুটারকে কসমেটিক আপগ্রেডের সাথে আনা হয়েছে। এটি ম্যাট ম্যাচিউর ব্রাউন কালার ও পার্ল নাইটস্টার ব্ল্যাক কালার অপশানে উপলব্ধ হবে। এই পেইন্ট স্কিম শুধুমাত্র অ্যানিভার্সারি এডিশন এক্সক্লুসিভ। স্কুটারের ফ্রন্ট এপ্রোন থেকে টেল ল্যাম্পে গোল্ড ও সিলভার স্ট্রাইপ আছে।

অ্যানিভার্সারি এডিশন এই স্কুটারের পিলিয়ন গ্রাব রেল বডি কালারের সাথে ম্যাচিং করে পেইন্ট করা হয়েছে। স্কুটারে Special Edition লোগোও দেখতে যাওয়া যাবে। সাইড প্যানেলে Activa লোগো গোল্ডেন কালারে চিত্রিত করা হয়েছে। Activa 6G এর পার্ল নাইটস্টার ব্ল্যাক কালার অপশানে ট্যান ব্রাউন সিট ও ম্যাট ম্যাচিউর ব্রাউন কালার মডেলে ব্ল্যাক সিট দেওয়া হয়েছে। স্কুটারের স্টিল হুইলে পাওয়া ব্ল্যাক কালার ফিনিশিং।

অ্যানিভার্সারি এডিশন অ্যাক্টিভা ৬জি স্কুটারে শুধুমাত্র কসমেটিক পরিবর্তনই করা হয়েছে৷ এছাড়া অন্য কিছু আপগ্রেড করা হয় নি৷ স্কুটারটিতে পাবেন PGM-FI প্রযুক্তির ১০৯ সিসির এয়ার কুলড ইঞ্জিন৷ যা  ৮,০০০ আরপিএমে সর্বোচ্চ ৭.৯ পিএস পাওয়ার এবং ৫,২৫০ আরপিএমে ৮.৭৯ এনএম পর্যন্ত টর্ক জেনারেট করতে পারে। ফিচারের কথা বললে এতে আছে ডাবল লিডের এক্সটার্নাল ফুয়েল ফিল্টার ক্যাপ, ইঞ্জিন অন-অফ করার জন্য সুইচ, একটি সাইলেন্ট এসিজি স্টার্টার, সামনে টেলিস্কোপিক সানপেনশন ও পেছনে থ্রি স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক সাসপেনশন, এলইডি ডিসি হেডলাইট, এবং ডিজিট্যাল ফুয়েল ইন্ডিকেটর৷