Maruti Suzuki Baleno গাড়ির বিক্রির সংখ্যা পৌঁছল ১০ লক্ষে, প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক হিসেবে নজির

Baleno এর ১০ লক্ষ ইউনিট বিক্রি করে ভারতের গাড়ির বাজারে নয়া নজির গড়ল মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। ২০১৫ সালে ভারতে লঞ্চ হওয়ার পর থেকে বিক্রির সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে এই গাড়ির। ১০ লক্ষ Baleno মডেল বিক্রি করতে মারুতি সুজুকির সময় লাগল ছ’বছর। প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই রেকর্ড গড়ে তাক লাগাল Baleno৷ উল্লেখ্য, মারুতি সুজুকির যাত্রী গাড়ি সেগমেন্টের পাশাপাশি হ্যাচব্যাক লাইনআপেও বেস্ট-সেলিং (সবচেয়ে বেশি বিক্রিত) মডেলের তকমা পেয়েছে Baleno।

মারুতি সুজুকি ব্যালেনোর (Maruti Suzuki Baleno) গত মাসে (নভেম্বর) ৯,৯৩১ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। আর অক্টোবরে বিক্রি হয়েছিল ১৫,৫৭৩ ইউনিট। তবে প্রতি মাসে গড়পড়তায় এর বিক্রির সংখ্যা ১৩,০০০ ইউনিট। প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক সেগমেন্ট এটি ২৫% শেয়ার দখল করে রেখেছে। যেখানে ব্যালেনোর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হুন্ডাই আই২০ (Hyundai i20) ও টাটা অলট্রোজ (Tata Altroz) এর মাস প্রতি গড় বিক্রির সংখ্যা যথাক্রমে ৬,০০০ ও ৫,০০০ ইউনিট।

প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক ব্যালেনোর এই মাইলফলক ছোঁয়ার প্রসঙ্গে মারুতি সুজুকির ভারতীয় শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং এন্ড সেলস) শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব (Shashank Srivastava) বলেছেন, “গাড়িটি বিস্ময়কর ভাবে ২৫ শতাংশের অধিক মার্কেট শেয়ার ধরে রেখে প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। দশ লক্ষেরও অধিক গ্রাহকের মন জেতার পাশাপাশি এর ঝুলিতে রয়েছে অসংখ্য সম্মানজনক পুরস্কার। গ্রাহকদের পাশাপাশি এটি গাড়ির বিশেষজ্ঞদেরও মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। হালফিলের দেশীয় শহরের গ্রাহকরা টেক-স্যাভি (প্রযুক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল)। ব্যালেনো গাড়িটি তাদের জন্যও উপযোগী।”

স্মার্ট ফিচারগুলির মধ্যে মারুতি সুজুকি ব্যালেনো (Maruti Suzuki Baleno)-তে রয়েছে – এলইডি প্রজেক্টর হেডলাইট, এলইডি ডিআরএল, অ্যালয় হুইল, এলইডি টেললাইট। এছাড়াও গাড়িটিতে রয়েছে, একটি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম যা অ্যাপেল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো দ্বারা কানেক্ট করা যায়, আইডেল স্টার্ট-স্টপ, রিয়ার পার্কিং ক্যামেরা, অটো ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং অন্যান্য ফিচার।

Maruti Suzuki Baleno প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক গাড়িটি বর্তমানে কেবল পেট্রোল ইঞ্জিনের বিকল্পেই উপলব্ধ। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পেট্রোল ও ডিজেল উভয় ইঞ্জিনের বিকল্পেই এসেছিল। এতে রয়েছে একটি ১.২ লিটার একজোড়া জেট ও ভিভিটি ইঞ্জিন, যাতে রয়েছে সুজুকির মিল্ড হাইব্রিড সিস্টেম। এটি ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক উভয় ট্রান্সমিশনের বিকল্পে পাওয়া যায়। ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী ভারতের বাজারে এর দাম ৫.৯৯  লক্ষ থেকে ৯.৪৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)।